প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচি সফল করে তোলার জন্য শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ সমাজের সব অংশের মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বৃহস্পতিবার পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় বলেন, সমাজের সব অংশের মানুষের কাছে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবার সুযোগ পৌঁছে দিতে এই অভিযান চলছে।
এর সুফল যাতে সবার কাছে গিয়ে পৌঁছে তা সংশ্লিষ্টদের সুনিশ্চিত করতে হবে। তিনি প্রতিটি শিবিরে এলাকার সবার অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি গাছের চারা বিতরণ সহ গাছের চারা রোপন করার পরামর্শ দেন।সভায় উপস্থিত ছিলেন, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন সহ পশ্চিম ত্রিপুরার বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানরা, বিডিওরা ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। সভায় প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান কর্মসূচির এক তথ্যচিত্র প্রদর্শন সহ এই অভিযানে বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।পর্যালোচনাকালে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুদার সভায় জানান, গত ১৭, ১৮ ও ১৯ অক্টোবর আগরতলা পুরনিগমের ৫১টি ওয়ার্ডে প্রতি ঘরে সুশাসন শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই শিবিরগুলিতে ২,৬৮৬ জনকে বিভিন্ন প্রশাসনিক সুবিধা দেওয়া হয়। সভায় জেলার ৯টি রকের দেওয়া তথ্যানুসারে জানা যায় ব্লকগুলির বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত, নগর পঞ্চায়েত, এডিসি ভিলেজে প্রতি ঘরে সুশাসন শিবিরের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩২৮ জনকে বিভিন্ন প্রশাসনিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরের সামগ্রিক স্কিমের মাধ্যমে জেলার ১৮ হাজার ৭৫৫টি পরিবারকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সভায় মোহনপুর মহকুমার মহকুমা শাসক অনিরুদ্ধ রায় জানান, এই কর্মসূচির মাধ্যমে মোহনপুর মহকুমায় এখন পর্যন্ত ৩২০০টি বিভিন্ন শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের অঙ্গ হিসাবে মোহনপুর পুর পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডের ৫টি করে দুঃস্থ পরিবারকে হাঁস, মোরগ পালনে সহায়তা দেওয়া হবে এবং ২টি করে পরিবারকে স্প্রে মেশিন দেওয়া হবে।সভায় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ, উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ, প্রাণী সম্পদ বিকাশ, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা, বন ইত্যাদি দপ্তরের প্রতিনিধিগণও জেলায় প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানে নিজ নিজ দপ্তরের কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৭শে অক্টোবর ২০২২