রাজ্যের প্রতিটি মহাবিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়নে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাজ্যের ২২টি কলেজের মধ্যে ২১টি কলেজ ইতিমধ্যেই নেক-এর স্বীকৃতি পেয়েছে। কলেজগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে অনলাইনে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার কৈলাসহরে রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের নবনির্মিত বিজ্ঞান ভবনের দ্বারোদঘাটন করে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন।
২৫ কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল বিজ্ঞান ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ১৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।বিজ্ঞান ভবনের দ্বারোদঘাটন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৫০ সালে এই কলেজটি যাত্রা শুরু করে। তাপস চৈতন্য মহারাজ এই কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ড. শচ্চিদানন্দ ধর এই কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৮২ সালে রাজ্য সরকার এই কলেজটি অধিগ্রহণ করে। বর্তমানে কলেজটিতে ২,৮৮২ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করছে। বর্তমানে এই কলেজে ১৯ বিষয় পড়ানো হয়। ছাত্রছাত্রীরা ১৬টি বিষয়ে অনার্স নিয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে এখন রসায়ণ এবং বাণিজ্য শাখার ইন্টিগ্রেটেড কোর্স চালু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিএড অনুপ্রেরণা যোজনায় ছাত্রছাত্রীদের ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই ১৯১ জন ছাত্রছাত্রীকে ঋণ প্রদান করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের যেন বহিরাজ্যে যেতে না হয়। রাজ্য সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। আমবাসায় একটি মেডিক্যাল কলেজ গড়েতোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পড়াশুনার সাথে সাথে খেলাধূলাকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের সন্মান করতে হবে। রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে মুখ্যমন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানান। প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী হীড়াছড়া চা বাগানে কর্মরত ৫ জন চা শ্রমিকের হাতে জমির পাট্টা এবং নিবেদিতা স্বসহায়ক দলের প্রতিনিধিদের হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা। সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, শ্রমমন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস, বিধায়ক সুধাংশু দাস, ঊনকোটি জিলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি শ্যামল দাস, কৈলাসহর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়, ভাইস চেয়ারপার্সন নীতিশ দে, টিআইডিসি'র চেয়ারম্যান টিংকু রায়, জেলাশাসক উত্তম কুমার চাকমা, জেলা পুলিশ সুপার কান্তা জাঙ্গির, রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. পিনাকী পাল প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নবনির্মিত বিজ্ঞান ভবনের ফলক উন্মোচন করে ও ফিতা কেটে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর পর তিনি বিজ্ঞান ভবন ঘুরে দেখেন এবং ভবন প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপন করেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ও সমাপ্তি সঙ্গীত পরিবেশন করে মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১৪ই অক্টোবর ২০২২