রাজ্য সরকারের মূল অভিমুখই হচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে সকলস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এজন্য বিভিন্ন জায়গায় হেলথ এন্ড ওয়েলনেস সেন্টার করা হচ্ছে। শনিবার এজিএমসি'র কেএলএস অডিটোরিয়ামে অ্যাসোসিয়েশন অব সার্জন অব ইন্ডিয়া, ত্রিপুরা স্টেট চ্যাপ্টারের ১৬তম বার্ষিক সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মুখমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, কৃষি অথবা পর্যটনই হোক সবক্ষেত্রেই সরকার এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা তৈরিতে দায়বদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ডেন্টাল কলেজ খোলা হবেই। এজন্য জায়গা আপাতত চিহ্নিত করা হয়ে গেছে। এই সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাজ্যে ২টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। কলেজগুলিতে প্রত্যেক ফ্যাকাল্টির যথেষ্ট অবদান রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময়ে ডাক্তারদেরকে হামলা, হুজ্জুতি ও টার্গেট করা হয়। কিন্তু এটা ঠিক নয়। এসব বন্ধের জন্য জনসচেতনতা প্রয়োজন। কারণ জন্ম এবং মৃত্যুর সার্টিফিকেট ডাক্তাররাই দিয়ে থাকেন। তিনি জুনিয়ার ডাক্তারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে শেখার সুযোগ রয়েছে।
তিনি স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে সকলের সহযোগিতার প্রত্যাশা করেন।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সচিব ডা. দেবাশিস বসু, গুজরাট থেকে আগত বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক ডা. রাজেশ শাহ, এজিএমসি'র অধ্যক্ষ ডা. মঞ্জুশ্রী রায়। স্বাগত ভাষণ দেন বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক ডা. কিশলয় চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনজন বিশিষ্ট প্রবীণ শল্য চিকিৎসক ডা. শংকর চ্যাটার্জি, ডা. গুনধিরাম শর্মা এবং ডা. শিবেন্দু মোহন দাসকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সুনীল কুমার ঘোষ।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১২ই নভেম্বর ২০২২