Type Here to Get Search Results !

।। বিজয় দিবস ।। কবিতা ।। বাউল কবি মোঃ মহিউদ্দীন ।। ফরিদপুর, বাংলাদেশ

।। বিজয় দিবস ।।


মাগো মা মুছে ফেলো অশ্রুজল

যত দুঃখ বেদনা...

হাসিখুশি  জয়ের আনন্দ 

আজ বড় সান্ত্বনা।। 


মাগো স্বাধীনতার যুদ্ধ করে 

যারা গিয়েছে মারা,

দেশের জন্য জীবন দিয়ে 

শহীদ হয়েছে তারা।।


ভাই হারা বোনের কান্না

সন্তান হারা মা,

জয়ের পতাকা ছিনিয়ে আনা

এই জাতিরই পাওনা।

১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীন করে 

দেশের মুক্তি সেনা।।


মাগো শেষ হয়েছে লড়াই 

নাই কোনো আর ভয়,

তোমার ছেলেরা যুদ্ধ করে 

এনেছে বাংলার জয়।।


ত্রিশ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছে 

মাগো যারা দিয়েছে প্রান,

বীর সৈনিক মুক্তি যোদ্ধা 

ছিলো বাঙ্গালীর সন্তান। 

ভালোবেসে ছিলো জন্ম ভূমি 

দেশ প্রেম সাধনা।।


সারা বাংলা মুখোরিত ছিলো 

জয়ের উল্লাসে, 

বাঙ্গালীরা মুক্ত স্বাধীন 

খুশির জোয়ারে ভাসে।


সবার মুখে ছিলো জয়ের ধ্বনি

দেশকে ভালোবেসে,

অস্ত্র হাতে মিছিল করেছে 

বিজয় দিবসে।

সোনার বাংলা মুক্ত স্বাধীন 

আজ বিশ্ববাসীর জানা।।


-বাউল কবি মোঃ মহিউদ্দীন 

ফরিদপুর, বাংলাদেশ 





কবি পরিচিতিঃ

মিন মোঃ শাহ্ ফকির বাউল কবি মহিউদ্দিন

পিতাঃ মরহুম মিন মোঃ শাহ্ ফকির মোঃ আঈনদ্দীন মোল্লা

মাতাঃ মরহুমা লালজান বেগম

জন্মঃ ০১ লা জানুয়ারী ১৯৬০  ইং সালে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার বড় কাজুলীর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। চার ভাই-বোনের ভিতর তিনি সবার ছোট এবং আদরের। পড়ালেখায় মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোতে না পারলেও লেখালেখির প্রতি তার আগ্রহ ছিলো সেই ছোট বেলা থেকেই। এরপর থেকেই এই লেখালেখি তার নেশা ও পেশা হিসেবে আঁকড়ে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন যায়গা চাকুরির সুবাদে জ্ঞান অর্জনের জন্য ঘুরে বেড়ান। একসময় তিনি বাংলাদেশের বাউল সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়িয়ে পড়েন। তারপর থেকে এ পর্যন্ত তিনি রচনা করেন প্রায় এক হাজারের বেশি বিভিন্ন প্রকার সুফিসংগীত, বাউল গান, পল্লীগীতি, ভাটিয়ালী, ইসলামী সঙ্গীত এবং প্রায় দুই শতাধিক এর বেশি কবিতা, প্রবন্ধ ও ছোট গল্প। তার লেখা ও সুর করা গান বাংলাদেশের অনেক স্বনামধন্য বাউল শিল্পী  গেয়েছেন এবং বর্তমানে অনেকেই গাচ্ছেন। একাধারে তিনি একজন গীতিকার, সুরকার, বাউল ও কবিতাই সকলে তাকে বাউল কবি মহিউদ্দিন বলে সম্বোধন করে থাকেন। ১৯৯৯ সালে তার প্রথম কবিতা "সেতু" নামের একটি সাহিত্যে পত্রে "নগরকান্দা জাতীয় কবিতা পরিষদের" উদ্যেগে প্রকাশিত হয়। তখন তিনি "জাতীয় কবিতা পরিষদ" নগরকান্দা উপজেলা শাখার "সহ-সভাপতি" পদে মনোনীত ছিলেন। বর্তমানে তিনি "বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন" নগরকান্দা উপজেলা শাখা এবং "জাতীয় কবিতা পরিষদ" ফরিদপুর জেলা শাখার সদস্য হিসেবে মনোনীত আছেন। 

প্রতি বছর "২২শে ভাদ্র বাংলা সন" তার নিজ বাসভবনে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য শিল্পীগন এসে গান করেন এবং বাৎসরিক ওরশ মাহফিল পালন করেন।

উদ্দেশ্যঃ ছোট বেলা থেকেই বাংলাদেশের বাউল সংস্কৃতিকে তার বুকে লালন ও ধারণ করেন ফলে বিভিন্ন প্রখ্যাত বাউল শিল্পীদের সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। তাদেরকে অনুকরণ ও অনুসরণ করেই তার মনেপ্রানে এই সংস্কৃতিকে ভালোবাসা এছাড়াও তার বাবাও একজন বাউলপ্রেমী লোক ছিলেন তিনিও বাউল সঙ্গীত লিখতেন ও অনেক ভালোবাসতেন তার কাছ থেকেই মূলত তার হাতেখড়ি। তাছাড়া তিনি সূফি সাধক লালন শাহ্, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লী কবি জসিমউদ্দীন এরা ছিলেন তার অনুপ্রেরণার উৎস। পরিশেষে তিনি মা-মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে, মাটির টানে দেশের টানে এই বাংলার বাউল সংস্কৃতি কে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরাই মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে।

 

আরশিকথা অতিথি কলাম

ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট

২৫ ডিসেম্বর ২০২২

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.