বিজ্ঞান ছাড়া দৈনন্দিন জীবন অচল। বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করেই সবকিছু দাঁড়িয়ে আছে। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে সমগ্র শিক্ষা অভিযানের আওতায় সোমবার কাকড়াবন উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত ২ দিনব্যাপী গোমতী জেলাভিত্তিক বিজ্ঞান, অংক এবং পরিবেশ বিষয়ক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন, ইজরায়েল একটি ছোট্ট দেশ হলেও তাদের বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা এবং উন্নত প্রযুক্তি আবিষ্কার ও তার ব্যবহার আজ সেই দেশের সুনামকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে। ভারতবর্ষেও অনেক মেধাবী বিজ্ঞানী রয়েছেন। তাদের প্রচেষ্টায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উৎসাহে আমাদের দেশে ২টি করোনার টিকা আবিষ্কার হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চেষ্টা করছেন দেশের মেধাবী সন্তানদের কিভাবে আরও বেশি করে বিজ্ঞান চর্চায় অনুপ্রাণিত করা যায়। দেশের তথা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের মধ্যে ডঃ এ পি জে আবদুল কালাম, আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর অবদান অনস্বীকার্য। এক সময় বিশ্বের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা ভারতের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে আসতেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর স্কুল জীবনে বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাকড়াবন উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল পুলিন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোমতী জেলা শিক্ষা আধিকারিক জৈন ভিক্টর রিয়াং। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি স্বপন অধিকারী, বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ, গোমতী জেলার জেলাশাসক গোভেকার ময়ূর রতিলাল, কাকড়াবন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সুপ্রিয়া সাহা, সমাজসেবক অভিষেক দেবরায় সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ এবং বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। উল্লেখ্য জাতীয় কলা উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্বাচিত দীপালি নোয়াতিয়া, মেঘবর্ণা নন্দী, পৃথ্বীরাজ বড়ুয়া এবং সুজন সুন্দর ভৌমিকের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা সহ অতিথিরা।
এবছর গোমতী জেলাভিত্তিক বিজ্ঞান মেলায় জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ১৪০টি মডেল প্রদর্শিত হয়েছে।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১৯ ডিসেম্বর ২০২২