বৃহস্পতিবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার হাত ধরে নির্বাচনী ইস্তেহারের প্রকাশ করলো বিজেপি। যার নাম দেওয়া হয়েছে সংকল্প পত্র।
বালিকা সমৃদ্ধি স্কিমে কন্যা সন্তান জন্মালে ৫০ হাজার টাকার বন্ড, মেধাবী কলেজ ছাত্রীদের স্কুটি প্রদানসহ পরিকাঠামো ও অর্থনৈতিক বিকাশে ঢালাও বিনিয়োগের ঘোষণা রয়েছে বিজেপির সংকল্প পত্রে। তেমনি, অনুকূলচন্দ্র ক্যান্টিনে দিনে তিনবার ৫ টাকায় খাবার, প্রধান সমাজপতিদের ভাতা বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা সহ পিএম কিষাণ যোজনায় রাজ্যের তরফে অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা এবং মৎস্যজীবীদের বার্ষিক ৬ হাজার টাকা সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি।সর্বোপরি প্রস্তাবিত ১২৫তম সংবিধান সংশোধনী বিলের এক্তিয়ারের মধ্যে এডিসিকে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন এবং অতিরিক্ত আইনি, নির্বাহী, প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের লক্ষ্যে পুনর্গঠনের সংকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ২৪টি প্রতিশ্রুতি রয়েছে এই ইশতেহারে।
এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বিজেপির সংকল্প পত্র প্রকাশ করে বলেন, ২০১৮ সালে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি তার অতিরিক্ত কাজ করে দেখিয়েছে। তাই, সংকল্প পত্রের সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হবে ত্রিপুরার মানুষ অবশ্যই তা বিশ্বাস করবে। সংকল্প পত্র প্রকাশ করে দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা অতীত এবং ভবিষ্যতের সাথে যোগসূত্র বেঁধে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে প্রতিশ্রুতি পুরণেই থেমে থাকেনি বিজেপি।ওই সংকল্প পত্রে উল্লেখ ছিল না এমন বহু কাজ মানুষের কল্যাণে করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ১৫টি একলব্য স্কুল, বিশ্ব ব্যাংক থেকে ১৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প, ত্রিপুরায় ৩৭ হাজার ব্রু জনজাতির স্থায়ী পুনর্বাসন এবং গৌতম বুদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সংকল্প পত্রে ছিল না। কিন্তু, জনকল্যাণে ঘোষণার বাইরে বিজেপি কাজ করেছে। ইশতেহার প্রকাশের পাশাপাশি তিনি ২০১৮ সালে সংকল্প পত্রে ঘোষণার বাস্তবায়নের রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরেছেন। তাঁর দাবি, বিজেপি দেশের মধ্যে একমাত্র দল রিপোর্ট কার্ড হাতে মানুষের দরবারে হাজির হওয়ার ক্ষমতা রাখে। তিনি বলেন, প্রত্যেককে ঘর, পানীয় জল, সামাজিক ভাতা বৃদ্ধি, সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় সহ বহু সংকল্পের সফল বাস্তবায়ন হয়েছে। তাতে প্রমাণিত, আগামী পাঁচ বছরের জন্য নেওয়া সংকল্পও পূরণ করবে বিজেপি।এদিকে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা দাবি করেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো ইস্তেহারে প্রকাশ নামকাওয়াস্তে করে না বিজেপি। প্রত্যেকটি বিষয়ে বিজেপি গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তেমনি ইস্তেহার নিয়েও দল ভীষণ সংবেদনশীল তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৯ফেব্রুয়ারি ২০২৩