ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের সুনাম ছড়িয়েছে গোটা দেশে। এই আদালতে বিচার প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট সরলীকরণ রয়েছে। এই ঘটনা রাজ্যবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের। রবিবার ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের দশম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে এই কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
রাজ্যের মানুষের প্রত্যাশা পুরনে দীর্ঘ তালবাহানার পর রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উচ্চ আদালত। সময়ের হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে তার বয়স পেরিয়েছে ১০ বছরে। রাজ্যের মানুষের অধিকার ও ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বড় পরিসর। রবিবার সেই সোনালী স্বপ্নের দশম বর্ষ পূর্তি পালন করল উচ্চ আদালতের বিচার বিভাগীয় আধিকারীকরা। আলোক মালায় সাজিয়ে তোলা হল আদালত চত্বর। আদালতের কনফারেন্স হলে এই উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছিল এক আলোচনা সভা।বক্তাদের আলোচনায় উঠে আসে এই উচ্চ আদালতের নানা ইতিকথা। অতীত থেকে বর্তমান কিভাবে ঘটল তার অভিষেক সেটাই মেলে ধরেন শ্রোতাদের সামনে। সেই আনন্দঘন মুহুর্তে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জোরের সঙ্গে বলেন, পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রশ্নেও একই দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ধাপে ধাপে উচ্চ আদালতের উন্নয়নের কাজ চলতে থাকবে।বিগত ৫ বছরে রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতের পরিকাঠামো উন্নয়নে থেমে থাকেনি। আর্থিক প্রতিকুলতা থাকলেও উন্নয়নের গতি ধারা বজায় রেখেছে রাজ্য সরকার। আগামী দিনেও ঐ ধারা বজায় থাকবে। শুধু তাই না সরকারী আইন কলেজ, বেসরকারী আইন কলেজ ও জুডিশিয়ারী একাডেমী তৈরী করেছে রাজ্য সরকার। অতীতের তুলনায় বিচার বিভাগের পরিকাঠামোর অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দাবী মুখ্যমন্ত্রীর। অপর দিকে আলোচনা সভায় অংশ নেন রাজ্যের উচ্চ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি অমরনাথ গৌর সহ বিচারপতি অরিন্দম লোধ।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
২৬ মার্চ ২০২৩