ভারতীয় জনতা পার্টি দলের কর্মীর কাজের মূল্যায়ন করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাউকে ঠকান না। এটাই হল বিজেপি। অনেকের মধ্যে ক্ষোভ -বিক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু দলের কাজে সবাই একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শনিবার খয়েরপুরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। ২০২৩ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ৩২ টি আসন নিয়ে পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে শাককদল বিজেপি। জোটসঙ্গী আইপিএফটি’র একটি আসন নিয়ে মোট ৩৩ টি আসন রয়েছে জোটের দখলে। ইতিমধ্যে মন্ত্রীসভার গঠন থেকে শুরু করে বিধায়কদের শপথ গ্রহণ, অধ্যক্ষ নির্বাচনও সম্পন্ন হয়ে গেছে। নির্বাচনের আগে থেকেই টিকিট পাওয়া নিয়ে অনেক বিজেপি নেতার মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ ছিল। অনেক বিধায়কও এবার টিকিট পাননি। অনেক ক্ষোভ বিক্ষোভের পরেও ক্ষমতায় ফিরেছে শাসকদল। এরই মধ্যেু বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তীর পরিবর্তে এবার অধ্যক্ষ করা হয়েছে ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনকে। এরপরেও শাসকদলের মধ্যে তেমন কোনো অশান্তি কিংবা বিরোধ লক্ষ্য করা যায়নি। এ নিয়ে দলের নেতা কর্মীদের প্রতি সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
শনিবার খয়েরপুর মন্ডলের উদ্যোগে দলের কার্যকর্তাদের মধ্যাহ্নভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যর রাখতে গিয়ে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি প্রশংসায় ভরে দিলেন তিনি। তিনি বলেন, বিজেপি দলে প্রতিটি কর্মকর্তার কাজের মূল্যায়ন হয়। ভালো কাজের জন্য অবশ্যাই দল ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কাউকে ঠকান না। এর নামই বিজেপি। এদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহিলাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার ভোটে বিজেপির জয়ের ফ্যাক্টর মহিলারাই। তাদের তিন শতাংশ ভোট বেশি পড়েছে এবারের ভোটে। এতেই বিজেপির জয় হয়েছে বলে দাবী করেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কিভাবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ করতে হয় সে বিষয়ে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বার্তা ছু্ঁড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
২৬ মার্চ ২০২৩