ও.বি.সি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের বাদ দিয়ে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ট ত্রিপুরা গড়া সম্ভব নয়। নলছড়ে ও.বি.সি কর্পোরেশনের উদোগ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বললেন ও.বি.সি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা। নলছড় ব্লক এলাকার ১০০ জন রাবার চাষীকে ৩০ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদান করা হয় বৃহষ্পতিবার।
ত্রিপুরা ও.বি.সি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল এই প্রশিক্ষণ শিবির ও চাষের ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি প্রদান অনুষ্ঠান। ব্লক এলাকার মায়ারানী ,তক্সাপাড়া ,বগাবাসা এই তিন এলাকায় হয়েছিল প্রশিক্ষণ শিবির। নলছড় দশমীঘাট মাঠে হয় সমাপ্তি অনুষ্ঠান। ভাষণ রাখতে গিয়ে ও.বি.সি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা বলেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার দেশ ও রাজ্যকে শ্রেষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর ও.বি.সি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের বাদ দিয়ে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ট ত্রিপুরা গড়া সম্ভব হবেনা। রাজ্যের বাঁশ এবং রাবার দেশ ও গোটা পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে রেখেছে। এর আরো উন্নয়ন করে অর্থনৈতিক ভাবে যেন রাজ্য আরো লাভবান হয় তার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।অনুষ্ঠানের অপর অতিথি নলছড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কিশোর বর্মন বলেন দেশের মধ্যে রাবার উৎপাদনে ত্রিপুরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তাকে কিভাবে প্রথম স্থানে নিয়ে আসা যায় তার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। পুরনো রাবার গাছগুলি দিয়ে আসবাবপত্র বানানোর ব্যবস্থা সরকারি ছাড়া বেসরকারি ভাবে নেই রাজ্যে। এই শিল্পে বেসরকারি উদ্যোগপতিদের উৎসাহ বৃদ্ধির প্রেচেষ্টা করা হচ্ছে বলে ভাষণে বলেছেন বিধায়ক।অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন নলছড় ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন জহরলাল ঘোষ ,ও.বি.সি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান তাপস মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রাবার চাষীদের শংসাপত্র তুলে দেন অথিতিরা।