Type Here to Get Search Results !

ডাক্তার মকছেদুল মোমিন এবং একটি হাসপাতালের বদলে যাওয়ার গল্প ।। এস আর এ হান্নান, বাংলাদেশ

এস আর এ হান্নান, বাংলাদেশ, আরশিকথাঃ


প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই মিষ্টি সুবাসে মুগ্ধ হতে হবে। প্রবেশের পরেই চারিদিকের পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক দৃশ্য নজরে আসবে। নজরকাড়া ফুলের সমাহারে সমৃদ্ধ সার্বিক পরিবেশ দেখে যে কারো ভালো লাগবে। সবুজের সমারোহ আর নানান প্রজাতির ফুলই নয়; ড্রেন, আভ্যন্তরীন রাস্তা, রং-বেরঙের বাতি, লাইব্রেরীসহ বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নজর কেড়েছে স্থানীয়দের। এই চমৎকার সৌন্ধর্য ও মনোরম পরিবেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের মাগুরা জেলার অন্তর্গত মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। একজন মকছেদুল মোমিনের প্রচেষ্টায় এটি নান্দনিক সৌন্ধর্যের হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। শুধু যে নজরকাড়া পরিবেশে পরিণত হয়েছে তা নয়; বেড়েছে চিকিৎসাসেবা ও সেবার মান। এই উন্নয়ন এবং পরিবর্তনের কারিগর স্বয়ং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মকছেদুল মোমিন। তাঁর আন্তরিকতা, স্বদিচ্ছা, পরিকল্পনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সবুজ বৃক্ষরাজি ও ফুলে-ফলে চোখ জুড়ানো মনোরম পরিবেশ তৈরি হয়েছে এখানে। বিভিন্ন রঙের (আলোকসজ্জা) লাইটিংয়ের ফলে রাতের হাসপাতাল যে কারও নজর কাড়ে। খুলনা বিভাগের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ের কয়েকটি ভালোমানের হাসপাতালের মধ্যে এটি জায়গা করে নিয়েছে। চিকিৎসাসেবা, দৃশ্যমান উন্নয়ন, সার্বিক পরিবেশের অভূত ও ঈর্ষণীয় পরিবর্তনের ফলে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপণ করেছে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শুরু থেকেই ৩১ শয্যার। পরবর্তীকালে ৫০ শয্যার ভবন নির্মিত হয়। ২০১৬ সালের ৩০ জুলাই তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ৫০ শয্যার হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন করেন। তবে এখনও ৩১ শয্যার জনবল এবং উপকরণ দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে এটি।

পাঁচ বছর আগেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে এমন দৃশ্য ছিল না। এটির অভ্যন্তরের খোলা জায়গা পতিত পড়ে আগাছা জন্মে ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছিল। মনে হতো গরু-ছাগলের চারণভূতি। ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় হয়ে গিয়েছিল। বর্ষাকালে কাদা-পানি জমে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করতো। চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়াতো। বখাটেরা আড্ডা দিতো। তাস খেলতো। নেশা করতো। পাঁচ বছরের ব্যাবধানে পূর্বের সেই দুর্বিসহ অবস্থার অভাবনীয় পরিবর্তন হয়েছে। পতিত জায়গাগুলো যেন হেসে উঠেছে। মালটা বাগান, ফলদ-বনজ, ঔষধিসহ নানান রকমের ফুল, ফল, পাতাবাহার, ঝাউ গাছ এবং শাক-সবজির আবাদে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে। আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রাস্তার দু’পাশে, বিভিন্ন ওয়ার্ডের সামনে, বারান্দাজুড়ে টবে, গ্রীলে ও ভবনের ছাদে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুল এবং সৌন্দর্য্য বর্ধনকারী নানা প্রকার গাছ।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অভ্যন্তরে ফলদ ও বিভিন্ন ধরণের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে ৭ শতাধিক। এরমধ্যে হয়েছে নারিকেল গাছ ২৫টি, আমগাছ ২০টি, জামরুল ২টি, কাঁঠাল ৫টি, লিচু ৩টি, সাগু ১০টি, পবন ঝাউ ৫০টি, দেবদারু ১৫টি, চায়না টগর ৪০০টি, রঙ্গণ ১০টি, হাসনাহেনা ৮টি, কামিনী ২০টি, পানচাটিয়া ২০টি, জবা ১০টি, মৌচন্দা ৮টি, কাটা মুকুট ৫টি, গোলাপ ১০টি, মেহেদী ৫টি, কৃষ্ণচূড়া ৩টি, ডালিম ১টি, বকুল ১১টি, বাগান বিলাস ২টি এবং চায়না কচু ১০টি। ১০০টি গাছ লাগিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মালটা বাগান। এছাড়া ক্যাকটাস জাতীয় কিছু গাছও লাগানো হয়েছে। ড্রেন, রাস্তা, বেঞ্চ, মিনি পার্ক, গেস্ট হাউজ, লাউব্রেরী, ভর্তি রোগিদের খাবারের জায়গা, বিষপানকারি রোগিদের ওয়াশ দেওয়ার জন্য আলাদা ঘর, আলোকসজ্জা, সিসি ক্যামেরা স্থাপণ, কনফারেন্স কক্ষের উন্নয়ন, মসজিদের উন্নয়ন, ওষু খানাসহ নানাবিধ উন্নয়ন ও পরিবর্তন এসেছে। সরকারি, বেসরকারি বরাদ্দসহ স্থানীয় পর্যায়ের মানুষের সহায়তায় এসব উন্নয়ন করা হয়েছে।

আশানুরুপ সেবা পাওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে রোগী আসা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশর্^বর্তী ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার বেলজানি, খরসূতি, চরবর্ণি, চন্দনি; আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচুড়িয়া এবং নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ও কালিগঞ্জ এলাকার অনেক রোগি এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ নিয়ে থাকেন। স্বাভাবিক প্রসবেও (নরমাল ডেলিভারি) সুনাম কুড়িয়েছে হাসপাতালটি। হাসপাতালজুড়ে বসানো হয়েছে সাউন্ড সিস্টেম, যার মাধ্যমে রোগীদের বিভিন্ন বার্তা জানানো হয়। পুরো হাসপাতাল চত্ত্বর ঘুরে দেখলে ছোটখাটো একটা পার্কের মতো মনে হবে।

২০১৮ সালের ২৭ মার্চ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে ডাক্তার মকছেদুল মোমিন মহম্মদপুরে করেন। এরপর থেকেই চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন ও হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নে তিনি নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। নানা পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি সবার নজরে আসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে সার্বিক পরিবেশ ও উন্নয়ন চিত্র। পাঁচ বছরের ব্যাবধানে এই হাসপাতালটি খুলনা বিভাগের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ের হাতে গোনা কয়েকটি ভালো মানের হাসপাতালের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন ডাক্তার মকছেদুল মোমিন।

২০২০ সালের দিকে হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে একটি পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে। যাতে করে ভর্তিকৃত রোগীদের স্বজনরা সেখানে বসে বিভিন্ন ধরণের বই পড়ে সময় কাটাতে পারেন। দুইটি আলমারিতে রয়েছে প্রায় ৪শ’ বই।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বহির্বিভাগে ৩৩ হাজার ৪০১ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। একই সময়ে অন্তর্বিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৭৪৪ জন রোগী। জরুরী সেবা গ্রহণ করেছেন ৬ হাজার ৩১৭ জন রোগী। এ সময়ের মধ্যে ২২৮ জন গর্ভবর্তী নারীর স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে। এক্সরেসহ ২০ থেকে ২২ রকমের প্যাথজিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে এখানে। স্বল্প পরিসরে সিজারিয়ান অপারেশনও করা হয়। তবে শিগগিরই এ কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের। নানা সঙ্কটের মধ্যেও স্বাস্থ্যসেবা যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য রুটিন ও টীম ওয়ার্কের মাধ্যমে তিনি যাবতীয় কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

সুত্র জানায়, ২৭তম বিসিএস’এ উত্তীর্ণ হয়ে ডাক্তার মকছেদুল মোমিন ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর মেডিকেল অফিসার হিসেবে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। এরপর ২০১৬ সালের ২৬ মে থেকে ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি আবাসিক মেডিকেল অফিসারের (আরএমও) দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর তিনি ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। সেখানে প্রায় ৪ মাস থাকার পর বদলিজণিত কারণে তিনি একই পদে মহম্মদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ যোগদান করেন। এরপর থেকেই হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধি ও এটির অভ্যন্তরের নানাবিধ পরিবর্তন এবং দৃশ্যমান উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করেন। মাত্র পাঁচ বছরের ব্যাবধানে তিনি বদলে দিয়েছেন এই হাসপাতালটিকে। প্রায় ১৫ বছরের চাকরি জীবনে ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চার মাস বাদে বাকি সময় তিনি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হওয়া সত্তেও দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজের পাশাপাঁশি নিয়মিতভাবে বহির্বিভাগে রোগী দেখেন তিনি। তিনি প্রতিদিন গড়ে ৬৫ থেকে ৮০ জন রোগী দেখেন। থাকেন ক্যাম্পাসের ভেতরের একটি বাসাতে। বলাচলে দিন-রাত রোগী দেখেন। বিশেষ করে গরীব ও অসহায় রোগীরা তাঁকেই দেখাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এ হাসপাতালটিকে তিনি অত্যন্ত আপন করে নিয়েছেন। অভ্যন্তরের কোথাও কোনো সমস্যা আছে কিনা তা প্রত্যক্ষ করার জন্য তিনি রাতেও ঘুরে ঘুরে দেখেন।

সবুজের ছায়াঘেরা, পাখি ডাকা ও বাহারি ফুলের সমারোহ আগত রোগী এবং তাদের স্বজনদের মনে অন্যরকম প্রফুল্ল এনে দেয়। এতোসব উন্নয়ন এবং পরিবর্তনের রূপকার স্বয়ং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মকছেদুল মোমিন। তার ভাবণা, পরিকল্পনা এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হাসপাতালটি পেয়েছে নতুন রূপ। সেই নতুন রূপে মুগ্ধ হচ্ছেন স্থানীয়রা। তিনি পাচ্ছেন ভালো কাজের স্বীকৃতি, অভিনন্দন ও প্রশংসা। গত ১৭ এপ্রিল মাগুরার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মকছেদুল মোমিনকে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও টি-শার্ট প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ তাঁর হাতে এসব তুলে দেন। এ সময় মাগুরার সিভিল সার্জন ডাক্তার শহিদুল্লাহ্ দেওয়ান, মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহ্সহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ এক অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ‘ভালো কাজের নাগরিক অনুশীলন, স্বীকৃতি দেবে মাগুরা জেলা প্রশাসন’ এই শ্লোগান সামনে নিয়ে জেলার সাধারণ মানুষদের মধ্যে ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধ করেন।

মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্বিক চিত্র ও চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি, অভ্যন্তরে মনোরম পরিবেশ তৈরি, ফুল বাগান, রোগিদের খাবারের স্থান, পাঠাগার তৈরি, বিভিন্ন রঙের বাতি স্থাপণসহ চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি খুলনা বিভাগের মধ্যে কয়েকটি ভালো হাসপাতালের তালিকায় উঠে এসেছে।

উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামের এইচ এম ওবায়দুল্লাহ্ আল মামুন বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় মেয়ে ও নাতিকে ডাক্তার দেখাতে আসেন বহির্বিভাগে। সেবা পেয়ে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানের চিকিৎসাসেবা ও সার্বিক পরিবেশ খুবই চমৎকার। মোমিন স্যারের (ইউএইচএফপিও) এই অবদান সত্যিই প্রশংসনীয়।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মকছেদুল মোমিন বলেন, ‘সদিচ্ছা এবং প্রচেষ্টা থাকলে কোনো কাজই কঠিন নয়। আন্তরিকতা দিয়ে কাজ শুরু করলে মানুষের সহযোগিতা পাওয়া যায়। আমি সেভাবেই কাজগুলো করেছি। এই কাজের স্বীকৃতিও দিয়েছেন মাগুরার জেলা প্রশাসন। ‘এই অর্জণ বা স্বীকৃতি আমার কর্মস্পৃহাকে আরও উজ্জীবিত করবে, উৎসাহিত করবে। জেলা প্রশাসকের হাত থেকে ভালো কাজের এ স্বীকৃতি নিতে পেরে আমি অভিভূত-গর্বিত। আমার ভবিষ্যৎ কর্মজীবণে এই মূল্যায়ন আমাকে প্রেরণা যোগাবে।’


আরশিকথা অতিথি কলাম
৫ই মে, ২০২৩

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.