অবশেষে শুরু হলো বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের সংস্কার কাজ। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া অংশে বন্যায় রেললাইন ডুবে বেঁকে যাওয়া, নিচে গর্ত হওয়াসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
গত ৮ ও ৯ আগস্টের বন্যায় ও পাহাড়ি ঢলের স্রোতে নবনির্মিত রেললাইনের বিশাল অংশ বেঁকে যায়। মূল জায়গা থেকে সরে গিয়ে হয়ে যায় আঁকাবাঁকা ও এলোমেলো। রেল লাইনের নিচে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি ও সরে যায় পাশের পাথর। সাতকানিয়ার তেমুহনী এলাকায় বন্যায় ক্ষতি বেশি হয়। রেললাইনে নতুনভাবে আরও তিনটি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
সকালে সরেজমিনে দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইনের সাতকানিয়ার তেমুহনী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইনের কাজ।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হবে। পানির স্রোতে মাত্র ২৫০ মিটার এলাকায় পাথর, কংক্রিট ও কিছুটা মাটি সরে গেছে। ফলে কয়েকটি স্থানে লাইন কিছুটা দেবে গেছে। আর কিছু স্থানে পাথর, কংক্রিট সরে যাওয়ায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।টেকনিক্যাল টিমের দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী যেখানে যেভাবে করতে বলবে সেভাবে করা হবে। তবে সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের সংস্কার কাজ এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, সংস্কার কাজ যথা সময়ে শেষ হবে। এছাড়া দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও হারবাং এলাকায় বাকি থাকা কাজও আগামী মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এসব কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে রেল চলাচল শুরু হবে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন হবে। তবে এখনো পর্যন্ত তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, তেমুহনী এলাকায় আরও তিনটি কালভার্ট হবে। তবে এগুলো এ মুহূর্তে করা সম্ভব নয়। কারণ যেখানে কালভার্ট করা হবে সেখানে এখন গাড়িতে করে মালামাল নেয়া যাবে না।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
ছবি ও তথ্যঃ সংগৃহীত
২২ আগস্ট ২০২৩