বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে বন্যা কবলিত এলাকার পানি। তবে পানি নেমে গেলেও ভেসে উঠছে বন্যার ভয়াবহ ক্ষতচিহ্ন। স্রোতের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, মহাসড়ক, কালভার্ট ভেসে উঠছে। এছাড়া বীজতলা, ফসলের মাঠ, মাছের ঘের, বেড়িবাঁধ, বসতঘর যেন সে ক্ষতের চিহ্ন বহন করছে।
কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ডুবে থাকা পুরো এলাকা থেকে নেমে যাচ্ছে পানি। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে বিভিন্ন ক্ষতচিহ্ন। দেখা মিলছে বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট, কালভার্ট; একই সঙ্গে উপড়েপড়া গাছপালাও।
রাস্তা থেকে কালভার্ট সরে গেছে, রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত, গাছপালা উপড়ে পড়ে বিধ্বস্ত রাস্তায় আটকে আছে। শুধু এটি নয়, এখন উপজেলার প্রতিটি গ্রামের একই চিত্র। পানিতে তলিয়ে গেছে বীজতলা, ফসলের মাঠ, মাছের ঘের। আর বিধ্বস্ত বসতঘরগুলোও যেন বহন করছে ক্ষতের চিহ্ন। এ অবস্থায় ঘরে ফেরা মানুষগুলো পড়েছেন নতুন দুশ্চিন্তায়।
লক্ষ্যারচর পানি ক্রমাগত নেমে যাচ্ছে; এর সঙ্গে সড়কের ভাঙন, বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান। যাদের বাড়িঘর এখনও রয়েছে, তাদেরও বাড়িতে গিয়ে রান্না করার সুযোগ নেই, বাড়ির ভেতরের পানি বের করার চেষ্টা করছেন।
এবার বন্যায় পানিতে ডুবে ছিলো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া স্টেশন। আর স্টেশনের দু’পাশের অসংখ্য মার্কেট ও দোকানপাট তলিয়ে যায় বন্যার পানিতে। আর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় চকরিয়ার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানালেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
তথ্যঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১০ই আগস্ট ২০২৩