ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নিয়ে এবার শরতের আগমন হলেও একদিন না যেতেই শরৎ ফিরেছে চিরচেনা রূপে। শুভ্র আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের ভেলা। কিছুদিন বাদেই কাশফুল খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে উঠবে নগরবাসী। বাতাসে ভাসবে ফুলের রেণু। শরৎ মানেই যেন প্রকট সব ঋতুর মাঝে নরম এক স্পর্শ।
শরতের এ সৌন্দর্য আপনাকে স্পর্শ করুক বা না করুক- এ সময়ে চারপাশে থাকা নানা এলারজেন কিন্তু আপনাকে স্পর্শ করেও ফেলতে পারে। আর আপনি বোঝার আগেই দেখবেন মুহুর্মুহু হাঁচি হচ্ছে। নাক বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে চোখও লাল হয়ে গেছে! অনেকের হঠাৎ করে শুরু হতে পারে শ্বাসকষ্টও। মূলত ঋতুভিত্তিক কিছু অ্যালার্জি রয়েছে যার কারণে কোনো নির্দিষ্ট কালে অনেকের মাঝে অ্যালার্জির উপদ্রব দেখা যায়।
আমাদের মাঝে অ্যালার্জিক রিয়েকশন তখনই দেখা দেয় যখন আমাদের দেহের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা তুলনামূলক অক্ষতিকর কোনো উপাদানকে দেহের জন্য ক্ষতিকর ভেবে বসে। ফলে দেহে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা যায়। বেশ কিছু আভ্যন্তরীণ ও বহিরাঙ্গন উদ্দীপক রয়েছে যার কারণে শরতকালে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। পরাগ রেণু, ছাঁচের স্পোর, ডাস্ট মাইট হলো সাধারণ অ্যালার্জেন যা শরৎকালে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে।
একেক ব্যক্তির মাঝে উপসর্গের রূপ একেকভাবে প্রকাশ পেতে দেখা যায়। কারও ক্ষেত্রে মাত্রাটি কম, কারও ক্ষেত্রে বেশি। তারপরও ঋতুভিত্তিক অ্যালার্জির ক্ষেত্রে যে সাধারণ লক্ষণগুলো থেকে থাকে: সর্দি- কাশি, নাক বন্ধ হয়ে থাকা, চোখে পানি আসা, হাঁচি, গোঙানি, চোখ ও নাক অনবরত চুলকানো এবং চোখের নিচে ক্ষত হওয়া।
সাধারণ সর্দি-কাশি বা করোনা ভাইরাসের উপসর্গের সঙ্গে এর কয়েকটা উপসর্গের মিল রয়েছে, তাহলে বুঝবেন কী করে যে আপনি ঋতুভিত্তিক অ্যালার্জিতে আক্রান্ত? আসলে অন্য রোগে জ্বর একটি মূল লক্ষণ হলেও অ্যালার্জির ক্ষেত্রে জ্বর হয় না, আর এটা সংক্রামকও নয়।
গ্রীষ্মের শেষে এবং শরতের শুরুতে ভোরের দিকে বাতাসে পরাগের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। গরম দিনে এবং ঝড় বা বৃষ্টির পরেও পরাগের মাত্রা ওঠানামা করতে পারে। তাই পরাগ সংখ্যা বেশি হলে বাইরে ঘোরাঘুরি কিছুটা সীমিত করুন। বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশের সময় কাপড় বদলে ফেলুন। ভেজা কাপড় বাইরে শুকাতে দিলেও ঝেড়ে ভাঁজ করতে হবে।
আপনার বিছানা বা শয্যা যদি পরিষ্কার না থাকে তাহলে অ্যালার্জির শুরুটা সেখান থেকেই হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। বিছানাপত্রে প্রচুর পরিমাণে ডাস্ট মাইট পাওয়া যায়। ধোয়ার অযোগ্য, ভারী চাদরের বদলে মেশিনে ধোয়া যায় ও শ্বাস-প্রশ্বাসের যোগ্য এমন ফেবরিক ব্যবহার করুন। বালিশ ও গদিগুলোকে ডাস্ট মাইট প্রতিরোধী কভার দিয়ে ঢেকে রাখতে ভুলবেন না। গৃহসজ্জার সামগ্রী ও কার্পেটগুলো প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ভ্যাকুয়াম করে ধুলো ও ডাস্ট মাইট ঝরিয়ে নিতে হবে।
যথাসম্ভব গন্ধহীন পরিষ্কারক ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। নন-ক্লোরিন ক্লিনার এবং ডিটারজেন্ট বেছে নিতে পারেন।
শরতের এ সৌন্দর্য আপনাকে স্পর্শ করুক বা না করুক- এ সময়ে চারপাশে থাকা নানা এলারজেন কিন্তু আপনাকে স্পর্শ করেও ফেলতে পারে। আর আপনি বোঝার আগেই দেখবেন মুহুর্মুহু হাঁচি হচ্ছে। নাক বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে চোখও লাল হয়ে গেছে! অনেকের হঠাৎ করে শুরু হতে পারে শ্বাসকষ্টও। মূলত ঋতুভিত্তিক কিছু অ্যালার্জি রয়েছে যার কারণে কোনো নির্দিষ্ট কালে অনেকের মাঝে অ্যালার্জির উপদ্রব দেখা যায়।
আমাদের মাঝে অ্যালার্জিক রিয়েকশন তখনই দেখা দেয় যখন আমাদের দেহের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা তুলনামূলক অক্ষতিকর কোনো উপাদানকে দেহের জন্য ক্ষতিকর ভেবে বসে। ফলে দেহে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা যায়। বেশ কিছু আভ্যন্তরীণ ও বহিরাঙ্গন উদ্দীপক রয়েছে যার কারণে শরতকালে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। পরাগ রেণু, ছাঁচের স্পোর, ডাস্ট মাইট হলো সাধারণ অ্যালার্জেন যা শরৎকালে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে।
একেক ব্যক্তির মাঝে উপসর্গের রূপ একেকভাবে প্রকাশ পেতে দেখা যায়। কারও ক্ষেত্রে মাত্রাটি কম, কারও ক্ষেত্রে বেশি। তারপরও ঋতুভিত্তিক অ্যালার্জির ক্ষেত্রে যে সাধারণ লক্ষণগুলো থেকে থাকে: সর্দি- কাশি, নাক বন্ধ হয়ে থাকা, চোখে পানি আসা, হাঁচি, গোঙানি, চোখ ও নাক অনবরত চুলকানো এবং চোখের নিচে ক্ষত হওয়া।
সাধারণ সর্দি-কাশি বা করোনা ভাইরাসের উপসর্গের সঙ্গে এর কয়েকটা উপসর্গের মিল রয়েছে, তাহলে বুঝবেন কী করে যে আপনি ঋতুভিত্তিক অ্যালার্জিতে আক্রান্ত? আসলে অন্য রোগে জ্বর একটি মূল লক্ষণ হলেও অ্যালার্জির ক্ষেত্রে জ্বর হয় না, আর এটা সংক্রামকও নয়।
গ্রীষ্মের শেষে এবং শরতের শুরুতে ভোরের দিকে বাতাসে পরাগের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। গরম দিনে এবং ঝড় বা বৃষ্টির পরেও পরাগের মাত্রা ওঠানামা করতে পারে। তাই পরাগ সংখ্যা বেশি হলে বাইরে ঘোরাঘুরি কিছুটা সীমিত করুন। বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশের সময় কাপড় বদলে ফেলুন। ভেজা কাপড় বাইরে শুকাতে দিলেও ঝেড়ে ভাঁজ করতে হবে।
আপনার বিছানা বা শয্যা যদি পরিষ্কার না থাকে তাহলে অ্যালার্জির শুরুটা সেখান থেকেই হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। বিছানাপত্রে প্রচুর পরিমাণে ডাস্ট মাইট পাওয়া যায়। ধোয়ার অযোগ্য, ভারী চাদরের বদলে মেশিনে ধোয়া যায় ও শ্বাস-প্রশ্বাসের যোগ্য এমন ফেবরিক ব্যবহার করুন। বালিশ ও গদিগুলোকে ডাস্ট মাইট প্রতিরোধী কভার দিয়ে ঢেকে রাখতে ভুলবেন না। গৃহসজ্জার সামগ্রী ও কার্পেটগুলো প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ভ্যাকুয়াম করে ধুলো ও ডাস্ট মাইট ঝরিয়ে নিতে হবে।
যথাসম্ভব গন্ধহীন পরিষ্কারক ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। নন-ক্লোরিন ক্লিনার এবং ডিটারজেন্ট বেছে নিতে পারেন।
আরশিকথা স্বাস্থ্য কথা
ছবি ও তথ্যঃ সংগৃহীত
ছবি ও তথ্যঃ সংগৃহীত
৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৩