Type Here to Get Search Results !

আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে ‘‘শেখ রাসেল দিবস - ২০২৩’’ উদযাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ


আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে ১৮ অক্টোবর ২০২, বুধবার, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এঁর জন্মদিন স্মরণে ‘‘শেখ রাসেল দিবস - ২০২৩’’ উদযাপনের লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচী দুই পর্বে পালিত হয়েছে।

প্রথম পর্বে আগরতলাস্থিত সোনারতরী হোটেলে সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ১০:৩ ঘটিকায় শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারী সকল সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০:৪০ ঘটিকায় উক্ত দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।সকাল ১০:৫০ ঘটিকায় শেখ রাসেলের পর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং ১১:০০ ঘটিকায় শেখ রাসেলের নির্মল, প্রানবন্ত ও নির্ভীক জীবনের উপরে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন  মোঃ আল আমীন, প্রথমসচিববাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন,আগরতলা। 




এছারাও বিশেষ বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি  এসসিদাস, মানবাধিকার কমিশনের সচিব রতন বিশ্বাস, মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব  স্বপনকুমারভট্টাচার্য, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য,নর্থ-ইষ্ট কালারস পত্রিকার সম্পাদক  সঞ্জিব দেব ও ত্রিপুরা টাইমস পত্রিকার নির্বাহী এডিটর  মানস পালউক্ত আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে আগত অতিথি হিসাবে বিশেষ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়

সন্মানিত বক্তাগণ বাংলাদেশের  প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং শেখ রাসেল দিবস উদযাপনে বাংলাদেশের এ মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের যে অটুট সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে তার ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বিশেষভাবে,  পৃথিবীতে আর কোন শিশু যেন শেখ রাসেলের মত অধিকার বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে সকলকে স্ব স্ব অবস্থানে সচেতন হওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার  আরিফ মোহাম্মাদতিনি তাঁর বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ই আগস্টের কাল রাতে নিহত সকল শহীদকে। তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন জাতির পিতার অত্যন্ত প্রিয় লেখক ছিলেন খ্যাতনামা দার্শনিক ও নোবেলজয়ী লেখক বার্ট্রান্ড রাসেল। তাই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শখ করে তাঁদের আদরের ছোট ছেলের নাম রেখেছিলেন ‘‘রাসেল’’। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট এই নিষ্পাপ শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘৃণিত খুনীচক্র। এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে তারা চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবার ও তাঁর আদর্শকে। কিন্তু খুনীচক্রের সে স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে আজ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে এবং শেখ রাসেল আজ বিশ্বে অধিকার বঞ্চিত শিশুদের প্রতীক  ও মানবিকসত্তা হিসেবে বেঁচে আছে সবার মাঝে।





দ্বিতীয় পর্বে সকাল ১:৩০ ঘটিকায় শেখ রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়পরবর্তীতে ঈশ্বর পাশালার ০৫ জন দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শেখ রাসেল শিক্ষাবৃত্তি২০২৩” প্রদান করা হয় এবং নব-প্রান্তিক” অনাথ আশ্রমের অনাথ ও দুঃস্থ শিশুদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ উপলক্ষে সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সিভিল সোসাইটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন, আগরতলার প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান জনাব মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ

১৮ই অক্টোবর ২০২৩

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.