Type Here to Get Search Results !

ঢাকায় স্বাস্থ্যবিষয়ক একাধিক সেমিনারে অংশ নিলেন প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অসীম কুমার দেঃ আরশিকথা বাংলাদেশ

প্রভাষ চৌধুরী, ঢাকা ব্যুরো এডিটর, আরশিকথাঃ


দুদিন ধরে একাধিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সেমিনার ও চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে হৃদয় সুস্থ রাখার গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে গেলেন ভারতের অন্যতম খ্যাতনামা সিনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিওথোরাসিক এবং ভাস্কুলার সার্জন ডা. অসীম কুমার দে। তিনি বর্তমানে কলকাতার পিয়ারলেস হসপিটালে কর্মরত।


আরশি কথার স্বাস্থ্য বিভাগ ও ঢাকা ফোরামের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসে ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক সেমিনারে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও রাজধানীর মুগদায় ফ্রেন্ডস কেয়ার হসপিটালে চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ভারতের এ চিকিৎসক।





রোববার (২৬ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক সেমিনারে হৃদযন্ত্র ভালো রাখার বিভিন্ন পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন ডা. অসীম কুমার। এ সময় উপস্থিত অনেকের নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এ সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হেদায়েত উল্লাহ তুর্কি, আরশিকথার এডিটর ইন চিফ শান্তনু শর্মা, ত্রিপুরার শিক্ষাবিদ ড. আশিস কুমার বৈদ্য প্রমুখ। একইরকম অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনায় অংশ নেন তিনি।


সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মুগদায় ফ্রেন্ডস কেয়ার হসপিটালে ‘হৃদয়ের সুরক্ষা’ শিরোনামে বাংলাদেশ-ভারতের চিকিৎসকদের মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডা. অসীম কুমার দে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক নিউজপোর্টাল ডেইলি হেলথ সল্যুশন আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ফ্রেন্ডস কেয়ার হসপিটালের পরিচালক (অপারেশন) মো. শফিকুল ইসলাম। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন ডা. সিহাব, মো. শাকিল আহম্মেদ, মো. সিমান্ত, মো. আনিছ, ঝরনা, ইরিনা প্রমুখ। এছাড়াও হসপিটালে কর্মরত বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
ডা. অসীম কুমার দে তার বক্তব্যে বলেন, অল্প কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললেই হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেমন, ভাজাপোড়া খাবার, রেডমিট, বেশি তৈলাক্ত খাবার, এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস করা। নিয়মিত ঘুম খুব প্রয়োজন। যেসব খাবারে বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা জমাট-বাঁধা চর্বি থাকে সেসব খাবার খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকিও। চিজ, দই, লাল মাংস, মাখন, কেক, বিস্কিট ও নারকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে হলে স্যাচুরেটেড নয় এমন চর্বি (যেসব খাবারের উপর চর্বি জমাট বাঁধে না) সে ধরনের খাবার খেতে হবে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে, তেল সমৃদ্ধ মাছ, বাদাম ও বীজ। অলিভ, রেপসিড, সানফ্লাওয়ার, কর্ন এবং ওয়ালনাট তেল দিয়ে রান্নার বিষয়ে তারা জোর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। সপ্তাহে অন্তত আড়াই ঘণ্টা ব্যায়াম করলে ভালো হয়। মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলতে হবে। ধূমপান ছেড়ে দেয়া জরুরি। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারও হৃদরোগের উপসর্গ দেখা দিলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মনে সাহস রাখতে হবে। দেখবেন প্রপার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ভালো হয়ে গেছেন।
এ মতবিনিময় সভায় হসপিটালের চিকিৎসকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এ সময় যেকোনো প্রয়োজনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান ভারতের এ বিখ্যাত চিকিৎসক।


আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ

২৯ নভেম্বর ২০২৩
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.