প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, ফরিদপু্র, আরশিকথাঃ
পাট উৎপাদনের দিক থেকে দেশে ফরিদপুরের স্থান এক নম্বরে। ফরিদপুরে উন্নতজাতের পাট উৎপন্ন হয় বলে এ জেলা কে ‘পাটের রাজধানী’ও বলা হয়। কিন্তু কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় চাষিদের মনে নেমে এসেছে এ চাষের প্রতি চরম অনিহা।ফলে কৃষকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম হতাশা।
তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তিলক কুমার ঘোষ বলছেন পাট উৎপাদন কম হলেও বাড়ছে ভুট্টা, তিল ও পিঁয়াজের উৎপাদন।
তউপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গতবছরের উপজেলায় পাট উৎপাদন হয়েছিল ১১ হাজার ৭শো ৪ হেক্টর জমিতে।এবছর উপজেলায় প্রায় ১১ হাজার ৪ শো ৩৬ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। যা কত বছরের তুলনায় এবছরে ৩.৫০ শতাংশ চাষবাদ কমেছে। তবে কৃষি দপ্তর বলছেন বাড়ছে ভুট্টা,তিল,পিঁয়াজ চাষ।
এদিকে বাজারে জুড়ে পলিব্যাগের ব্যবহার ক্রেতা বিক্রেতা বলছেন পাট পণ্যের দাম বাড়ায় এগুলো কেনারা আগ্রহ কম।
তবে এবছরের মৌসুমের শুরুতেই তীব্র তাপ প্রবাহ খরা দেখা দেওয়ায়, পাট চাষের ঘাটতি দেখা দেয়। কোথায় কোথাও জমিতে পানির অভাবে পাট মারা গেছে। তাই চলতি মৌসুমে পাট চাষে উপজেলায় কম হয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় পাট চাষের খরচ বেশি। অনেকেই এ চাষের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন। তবে পাঠ সংশ্লিষ্টরা বলছেন পাট শিল্পের সুদিন ফেরাতে পাট জাত পণ্যের ব্যবহার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজন সমন্বিত পদক্ষেপ।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
২৪শে জুন ২০২৪