Type Here to Get Search Results !

ভোক্তা অধিকার নিয়ে সচেতনতা প্রয়োজন ঃ সুশান্ত চৌধুরী

বিশেষ প্রতিনিধি, আগরতলা, আরশিকথাঃ


জনগণকে সজাগ থাকতে হবে এবং সরকারের স্বচ্ছতা বজায় রেখে হচ্ছে কিনা সেটা লক্ষ্য করা প্রয়োজন। এই সরকার জনগণের সরকার। তাই সরকারি আধিকারিকদের ওপর নজরদারি করার অধিকার রয়েছে সাধারণ জনগণের। কারণ সরকারের চালিকা শক্তি মন্ত্রী ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। তারাও দুর্নীতি করতে পারে। তাই সরকারি দপ্তরগুলোতে সাধারণ নাগরিকদের নজরদারি থাকলে প্রতিটি সরকারি দপ্তরেই কাজে স্বচ্ছতা আসবে। পাশাপাশি যে কোন  ভোক্তা  যখন বাজারে যাবেন তখন সচেতন হয়ে জিনিসপত্র ক্রয় করতে হবে প্রত্যেককে। বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের অভাব নেই। সতর্ক থাকলে বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীরাও সাবধান হয়ে যাবে। মঙ্গলবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ভোক্তা সচেতনতা মূলক আলোচনা চক্র ও ওপেন ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় বক্তব্য রেখে এই কথা বলেন খাদ্য ও জনসংভরণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তর কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরো বলেন, শুধু আইন দিয়ে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।ক্রেতাদের যেমন নিজেদের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন হতে হবে, তেমনি ব্যবসায়ীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে মানবিক মূল্যবোধের পরিচয় দিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, বহু বিষয় রয়েছে সেসব বিষয়ে মানুষ ওয়াকিবহাল নয়। কিন্তু এর জন্য নিজেকে সচেতক হওয়া দরকার। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা আসলে সরকার এবং দপ্তর মানুষের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তাই সচেতন হওয়ার দায়িত্ব সাধারণ নাগরিকদের নিজের কাঁধেই নিতে হবে। এক্ষেত্রে সচেতন হবার দায়িত্ব কোন সাধারণ নাগরিকের উপর জোর করে চাপিয়ে দিতে পারবে না সরকার।  এক্ষেত্রে উদাহরণ দিতে গিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, একটি রেস্টুরেন্টে গেলে কোন খাবার খাওয়ার পর যদি অতিরিক্ত বিল আসে, তাহলে কেন অতিরিক্ত বিল নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় না রেস্টুরেন্টের কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু হোটেল বা রেস্টুরেন্ট পরিচালক কর্তৃপক্ষের কাছে তার জবাবদিহি চাওয়া উচিত। এটাই সচেতনতার লক্ষণ। কাউকেই ঠকাবার অধিকার নেই কারোর। তাই খাবারের মূল্য বেশি নেওয়া হলে বা খাবার কম দেওয়া হলে, কিংবা গুণগত মানসম্পন্ন খাবার না দেওয়া হলে, কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করার অধিকার রয়েছে ভোক্তাদের।
একইভাবে বাজারে গেলে বিক্রেতারা মেয়াদ উত্তীর্ণ জিনিস বিক্রি করা বা কোন সামগ্রীর অতিরিক্ত মূল্য রাখার বিষয়ে প্রতিবাদ করতে হবে সচেতন নাগরিককে। এতে যদি বাধা হয় কোন ব্যবসায়ী, তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সুবিধা রয়েছে। এর উদাহরণস্বরূপ মন্ত্রী বলেন ভোক্তা আদালতে ব্যবসায়ীদের অন্যায় নিয়ে ২০৯৬ টি মামলা উঠেছিল, তার মধ্যে ২০৫৬ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকি ৪০টি মামলা এখনো পেন্ডিং রয়েছে। সুতরাং সকলে যাতে তার নিজ নিজ অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকে তার জন্য আহ্বান জানান মন্ত্রী। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এদিন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা রামনগরের বিধায়ক দীপক মজুমদার, ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম লোধ, খাদ্য, জনসংভরন ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা।


ছবিঃ সংগৃহীত


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
২৫শে জুন ২০২৪

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.