বর্ষায় বানভাসি আগরতলা সহ গোটা রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় অত্যাধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণে কোন ধরনের শিথিলতা দেখানো চলবে না। বর্ষাকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আসন্ন বর্ষার মাশরুমের সর্বাধিক দূরত্ব দিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। মঙ্গলবার আসন্ন বর্ষায় উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সম্ভাব্য প্রস্তুতির পর্যালোচনায় সচিবালয়ের এক বৈঠকে এই বার্তায় প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। এদিন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই পর্যালোচনা সভায় মুখ্যসচিব জেকে সিনহা, নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, অর্থ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, পরিকল্পনা (পরিসংখ্যান) দপ্তরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্র, আগরতলা পুর নিগমের কমিশনার ডক্টর শৈলেশ কুমার যাদব সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিনের পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্ষায় উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় অত্যাধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে বহিঃরাজ্যের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে। আগরতলা শহরে বৃষ্টির জল জমে থাকার সমস্যা কিছুটা কমলেও সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারেনি শহর আগরতলা। নগরবাসীকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, শহর ও নগর এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে স্যাটেলাইট হাসপাতাল এবং পিঙ্ক টয়লেট গড়ে তোলার বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে। শহর এলাকায় মশার উপদ্রব আরও কমানোর জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।এদিনের সভায় নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, আসন্ন বর্ষায় নাগরিক স্বাচ্ছন্দ বজায় রাখতে নগর উন্নয়ন দপ্তরের চেষ্টার খামতি থাকছে না। বানভাসি থেকে শহর আগরতলা কে মুক্তি দিতে যথাযোগ্য প্রস্তুতি নেওয়ার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। তিনি আরো জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি জুন মাসে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক থেকে কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জুলাই এবং আগস্ট মাসে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি জানান, বর্ষা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নগরোন্নয়ন দপ্তর সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সমস্ত নগর শাসিত সংস্থার বন্যা প্রবণ এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।