দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে মা বোনেদের মুখে কিছুটা হাসি ফোটাতে বস্ত্রদানের মতো সামান্য প্রয়াস প্রতিবছর দলের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়ে থাকে। এটা সামাজিক দায়বদ্ধতারই একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর এই সামাজিক দায়িত্ব পালনে বিজেপি কর্মী কার্যকর্তারা কখনোই পিছিয়ে যায় না। এই বছরও বিজেপির কর্মকর্তারা শারদোৎসবে বস্ত্রদানের মত মহান কর্মসূচি হাতে তুলে নিয়েছে। বিগত কিছুদিন ধরেই এই ধরনের কর্মসূচিতে নিম্নবিত্ত অংশের মা-বোনদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলছে ভারতীয় জনতা পার্টির বিভিন্ন মন্ডলের কার্যকর্তারা। আসন্ন দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে শুক্রবার বড়দোয়ালী মন্ডলের উদ্যোগে আগরতলা পুর নিগমের ৩৪ নং ওয়ার্ডে আয়োজিত এক বস্ত্রদান কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। সেই সঙ্গে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। এ দিনের এই কর্মসূচি থেকে পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা বলেন, শারদীয়া দুর্গোৎসব উপলক্ষে এবছরও ওয়ার্ড ভিত্তিক মা বোনেদের জন্য সামান্য উপহার দেওয়ার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে। এই লক্ষ্যে শুক্রবার ৩৪ নং ওয়ার্ডে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। মূলত, এটা একটা মনের প্রশান্তি। পুজো উপলক্ষে রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষ আনন্দে মেতে উঠেন। কিন্তু এমনও অনেক মানুষ রয়েছেন, যাদের বস্ত্র কেনার সমর্থ্য নেই। শারদোৎসবের দিনগুলোতে তারাও যাতে আনন্দে উৎসবের শামিল হতে পারেন তার জন্য দলের পক্ষ থেকে সব সময়ই উদ্যোগ নেওয়া হয়।যারা আমাদের মা বোন রয়েছেন তাদের সবাইকে নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্য তাই বস্ত্রদানের মতো কর্মসূচি প্রতিবারের মতো এবারও হাতে নেওয়া হয়েছে। সবার মুখে হাসি ফোটাতে দলের তরফ থেকে এটা সামান্য প্রয়াস। এতে খানিকটা হলেও তাদের মুখে হাসি ফুটবে। এটাই ভারতীয় জনতা পার্টির ঐতিহ্য এবং পরম্পরা।
এদিন এই সামাজিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বড়দোয়ালী মন্ডলের সভাপতি সঞ্জয় সাহা, ৩৪ নং পুর ওয়ার্ডের কর্পোরেটর জাহ্নবী দাস চৌধুরী সহ ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যান্য নেতৃত্ব।এদিন এই বস্ত্র দান কর্মসূচির আগে দুর্গোৎসব উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে বড়দোয়ালী মন্ডল আয়োজিত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ২০ নং ওয়ার্ডের মায়েদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। বৃহস্পতিবারে আয়োজিত ওই বস্ত্র দান কর্মসূচিতে শারদীয়া উৎসব সকলের জন্য যাতে ভালোভাবে অতিবাহিত হয় প্রত্যাশা রাখেন তিনি।পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলা ভাষা সহ অন্যান্য কয়েকটি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান সম্পর্কিত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা বলেন, বাংলা ভাষা ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত আনন্দেরএবং সমগ্ৰ বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরবময় অধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ভাষাকে সুমধুর ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটাই প্রমাণিত হয়, সবদিক দিয়ে পজেটিভ চিন্তা ভাবনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাই কিছুদিন পর পরই একটা ইতিবাচক বার্তা প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা চেতনা ও ভাবনা আমরা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয় আমাদের। প্রধানমন্ত্রীর এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে বাঙালি হিসেবে খুবই গর্ববোধ করছি।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য আমি বাঙালি সহ জাতি জনজাতি সবার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই। এই সম্মান প্রধানমন্ত্রীর বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর আন্তরিকতাকে প্রতিফলিত করে।উল্লেখ্য, বাংলা সহ মারাঠি, পালি, প্রাকৃত এবং অহমিয়া ভাষাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধ্রুপদী ভাষা (ক্লাসিক্যাল ল্যাঙ্গুয়েজ) হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
৪ঠা অক্টোবর ২০২৪