"অশেষ গুন সম্পন্ন আমাদের আগামী প্রজন্মের কথা আপনাদের জানাতেই হবে। নানা আনুষ্ঠানিক ভিড়ে তমোঘ্ন ,আহেরি আর অমিত চৌধুরী এর মত গুণী ভাই বোনরা আজ নিজেদের অস্তিত্ব বুক ঠুকে জানান দিলো। রুদ্রাণীর প্রযোজনা বিনম্র ভাবে বুঝিয়ে দিলো তারা কৃষ্টিকে লালন করেন। চার মাস ধরে রিহার্সাল করেছেন প্রতিদিন। হুজুগে আবেগ নয়। হঠাৎ মনে হলো মহালয়া আসছে।আমাদের প্রমাণ করতে হবে । আমরাও কম যাই কিসে। প্রিন্স ভিডিও এর নিবেদনে রুদ্রাণীর অনন্য আয়োজন এ আমাদের আগামী প্রজন্ম কি দেখালো আমি তাঁদের স্নেহের আশীষ দেওয়ার পরিবর্তে শ্রদ্ধা ও নমস্কার জানিয়েছি।অমিত চৌধুরী, তমাঘ্ন ,আহিরী এদের পরিবেশনা আমাকে আপ্লুত করেছে।এমন নিখুঁত উপস্থাপনা, এত ভাব, এত নান্দনিক ১৬ জন আমার ত্রিপুরা রাজ্যের তরুণ তরুণী, রুদ্রাণীর ,আমার ছোট ভাই বোন ,আমার সন্তান সম এরা। আমি ভাবতেই পারিনি বাণী কুমার বিরচিত" মহিষাসুরমর্দিনী" কে এত পরিমার্জিত ভাবে এত আন্তরিকতায় পরিবেশন করতে পারে আমাদের আগামী প্রজন্ম। আসুন আমরা প্রচলিত ধারা বদলাই। একবার দেখুন । ডাকুন তাদের আপনার পূজার আয়োজনে।"
প্রিন্স ভিডিও এর নিবেদনে " দেবী মাহাত্ম্য" শীর্ষক ৫ই অক্টোবর শনিবার সুকান্ত একাডেমি প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠান দেখার পর আবেগে আপ্লুত হয়ে রাজ্যের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত ভৌমিক এইভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন।
যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন আহিরি গোস্বামী, প্রযুক্তা আচার্য্য, দীপ্তনু ভৌমিক, দেবার্ঘ মজুমদার, শিবম দে, শিবজ্যোতি দে। গীতি-আলেখ্য নির্দেশনা ও পরিচালনা করেছেন তমোঘ্ন ধর ও আহিরি গোস্বামী।শব্দ প্রকৌশলে সৌম্যজিৎ নন্দী। শব্দ ও আলো সঞ্চারনে সাউন্ড সানা।মঞ্চ পরিকল্পনা ও আলোক সজ্জায় অনুরব ধর। মঞ্চ প্রস্তুত করেছেন রাজেশ কান্তি সাহা। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেছেন অমিত কুমার চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ মিশন স্কুলের আগরতলার ডিরেক্টর দীনবন্ধু দাস, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত ভৌমিক,সংগীত নাটক একাডেমি (NEDC) এর আগরতলা প্রজেক্ট ডিরেক্টর সর্বাণী নন্দী, শ্রীকৃষ্ণ মিশন স্কুলের শিক্ষক ও তবলা বাদক রঞ্জিত দেবনাথ, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব সঞ্জয় কর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় রাজ্যের প্রবীণ ঢাক বাদক শিল্পী গৌরচান দাসকে।