নববর্ষ উপলক্ষ্যে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ আগরতলায় সান্ধ্যনীড়ে ‘শ্রীচরনেষু মা‘ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন।
‘শ্রীচরনেষু মা‘, আসলে এক বিশেষ মাতৃ উদযাপন, সেই সব মায়েদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার জন্য যারা জানেন যে মাতৃত্ব আসলে কী। এটি এমন এক উদ্যোগ যা সমস্ত সম্পর্কের মধ্যে মাকে সম্মান জানানোর জন্য, তাদের চরনে হাত দিয়ে প্রণাম জানানোর মতো এক ঐতিহ্য।
এই বছরের উদযাপনটি মায়েদের থাকার জায়গা আগরতলায় সান্ধ্যনীড়- এ আয়োজন করা হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানটি সেই সব মায়েদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছে যারা এখন জীবনের সায়াহ্নে এসে পৌছেছেন, যাদের এই সময়টা অনেক ভালোবাসা ও যত্নের প্রয়োজন হয়। তাই তাদের জন্য অনেক ভালবাসা, উপহার ও আনন্দ দিয়ে ভরিয়ে তোলা হয়েছিল।
খ্যাতনামা কীর্তন গায়িকা পুষ্পিতা চক্রবর্তী তার সুন্দর গানের মাধ্যমে দিনটিকে আনন্দে ভরিয়ে তোলেন।
প্রখ্যাত যোগা বিশেষজ্ঞ যোগীবিশ্ব মা দের সুস্থ থাকার প্রক্রিয়া দেখিয়ে দেন ও বিশেষ থেরাপি র মাধ্যমে মা-দের শারীরিক ব্যাথা বেদনা কমানোর প্রয়াস নেন।
এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স - কর্তৃপক্ষ মায়েদের প্রত্যাহিক কাজের সুবিধার জন্য ১,২০,০০০/- টাকার চেক মা-দের হাতে তুলে দিয়েছেন।
এদিন মায়েদের মুখের যে দীপ্তি ফুটে উঠেছিল তাতে তাদের মনের ও হৃদয়ের সমস্ত আনন্দকে প্রতিফলিত করছিল।
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স- এর ডিরেক্টর রূপক সাহা বলেন, “মাতৃ ঋণ কখনোই শোধ করা যায় না, কিন্তু স্বীকার করা যায়। ‘শ্রীচরনেষু মা’ সেই ঋণ স্বীকার এর প্রচেষ্টা। একই সাথে, আমরা জুয়েলারি শোরুমের চার দেয়ালের বাইরে এমন কিছু করার চেষ্টা করি যাতে সমাজের কাজে লাগতে পারি। সামাজিক কোনো কাজে যখনই কোনো দরকার পড়েছে তখন আমরা পাশে থাকার চেষ্টা করেছি”।' তিনি আরো বলেন, ' আগরতলায় সান্ধ্যনীড়' এ ‘শ্রীচরনেষু মা’ উদযাপন করতে পেরে খুবই আনন্দ পেয়েছি। কারণ এই উদযাপন মায়েদের মুখে যে হাসি ও দীপ্তি ফুটিয়ে তুলেছে তার চেয়ে এই পৃথিবীতে আর মূল্যবান কিছু নেই।'
যোগা গুরু যোগীবিশ্ব বলেন, 'মায়েরা আমাদের এই পৃথিবীতে নিয়ে আসেন। মায়ের প্রতি যত্ন নেওয়া প্রতিটি ছেলে ও মেয়ের দায়িত্ব। বিশেষ করে এমন বয়সে যখন তিনি নিজেকে সামলাতে পারেন না। শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের ‘শ্রীচরনেষু মা’ সেদিক থেকে দেখলে এমনই এক পদক্ষেপ যা মায়েদের মুখে এক রৌদ্রোজ্জ্বল হাসি ফোটাতে পারে, যারা এখন জীবন সায়াহ্নে এসে পৌঁছেছেন।'
এদিনের কর্মসূচী একসাথে সবাই মিলে মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হয় যা এক মিষ্টি সুরের রেশ ছেড়ে যায়।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
২০ জানুয়ারি ২০২৫