রাজ্যের গর্বের পালকে যুক্ত হতে চলেছে নতুন এক অধ্যায়। রাজ্যের অগ্রণী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা উড়ান আগামী ২১,২২ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে " ত্রিপুরা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল " এর আয়োজন করেছে। আগামী একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন এই মহা উৎসবের শুভ সূচনা হবে।
উৎসবের বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে উদ্যোক্তাদের তরফে মঙ্গলবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সংস্থার কর্মকর্তারা জানান আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি বিকাল পাঁচটায় প্রথমবারের মতো " ত্রিপুরা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল " এর শুভ সূচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল জিষ্ণু দেববর্মা এবং রাজ্যের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকেও।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রথম মহাকাশচারী বিজ্ঞানী রাকেশ শর্মা, পদ্মশ্রী, ম্যাগসেসে পুরস্কার বিজয়ী সর্বজন শ্রদ্ধেয় চিকিৎসক রবি কান্নান, বুকার পুরস্কার বিজয়ী গীতাঞ্জলি শ্রী প্রমুখ।
এই আয়োজনে কথায় এবং কবিতায় অংশ নেবেন কবি জয় গোস্বামী। কথায় সুরে গানে গানে থাকবেন সঙ্গীতশিল্পী স্বাগতালক্ষ্মী দাসগুপ্তা। থাকবেন জয়পুর লিটারেচার ফেস্টিভ্যালে ঝড় তুলে আসা রাজু বাউল। থাকছে বর্ধমানের বিখ্যাত বহুরূপী দল।
অনুষ্ঠানে গানের ছন্দে মাতিয়ে রাখবেন ডঃ সেঁজুতি গুপ্ত। থাকবেন কথার জাদুকর ডাঃ কুণাল সরকার, খ্যাতনামা ঔপন্যাসিক সমরেশ বসুর সুযোগ্য পুত্র লেখক ও চিকিৎসক ডাঃ নবকুমার বসু। অনুষ্ঠানে থাকছেন রাজ্যের গর্ব রবীন্দ্র গবেষক বিকচ চৌধুরী। কথার জাদুতে মাতিয়ে রাখতে থাকবেন বাচিক শিল্পী চন্দ্রিমা রায়।
কথায় গানে প্রেক্ষাগৃহ মাতিয়ে রাখতে থাকবেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক, গায়ক অঞ্জন দত্ত। ঢাকের বাদ্য বাজিয়ে ঝড় তুলবেন পদ্মশ্রী গোকুল চন্দ্র দাস। এছাড়াও সাহিত্য আড্ডায় থাকছেন সাহিত্য একাডেমী বিজয়িনী সরো খাইবাম গম্ভীনি, নরেশ দেববর্মা, দরবা সায়নাম শ্রীনিবাসাচারিয়া, ক্রাইরী মগ চৌধুরী এবং শ্রীলঙ্কা থেকে আগত লেখক ও অনুবাদক রস্মিকা মান্ডাওয়ালা। কথায় থাকবেন অনুরাধা শর্মা পূজারী। আয়োজনের এক পর্বে আলোচনায় অংশ নেবেন অরুণ কমল, অশোক দেব, ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলি, বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরিন্দম মুখার্জি এবং পারিজাত দত্ত। মোটকথা তিনদিনের এই লিটারেচার ফেস্টিভ্যালের আয়োজন এক মহা আয়োজনের রূপ নিতে চলেছে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
আগামী ২১ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ অবধি তিনদিনের এই ত্রিপুরা লিটারেচার ফেস্টিভ্যালকে কেন্দ্র করে উৎসবের সাজে সেজে উঠতে চলেছে গোটা রবীন্দ্র ভবন চত্বর। আয়োজনে থাকছে ভাস্কর্যের মন মাতানো প্রদর্শনী, বইয়ের স্টল এবং বাহারি খাবারের নানা স্টলও। সঙ্গে রবি ঠাকুরের পদপ্রান্তে রাজ্যের শিল্পীদের মন মাতানো আয়োজন রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের প্রবেশদ্বারেই উৎসব সমারোহকে ভিন্ন আঙ্গিক দেবে তাও নিশ্চিত করে বলা যায়।
সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এই ঐতিহাসিক আয়োজনকে সার্বিক অর্থে সফল করে তোলার জন্য উদ্যোক্তারা সকল অংশের মানুষের প্রতি আহ্বান রেখেছেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫