তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
দীর্ঘদিন ধরেই চলছে নানা অব্যবস্থা। সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শেষপর্যন্ত অনশন আন্দোলনে বসে নরসিংগড় দৃষ্টিহীন আবাসিক স্কুলের পড়ুয়ারা। পরে অবশ্য স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় আবাসিকরা। ১১ দফা দাবিতে সোমবার(২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে অনশন আন্দোলন শুরু করে নরসিংগড়স্থিত দৃষ্টিহীন স্কুলের আবাসিকরা। দাবি আদায়ে তারা স্লোগানও দেয়।
তাদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে স্কুলে একজন পুরুষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওয়ার্ডেন নিয়োগ, স্কুলে ইংরেজি, অংক ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ করা, সঙ্গীত, কম্পিউটার ও শারীর শিক্ষক সরকারিভাবে নিয়োগ করা, নাইটগার্ড ও সুইপার নিয়োগ, সমস্ত ক্লাশে ব্রেইল পাঠ্যবই এর ব্যবস্থা করা, বেহাল শ্রেণীকক্ষগুলি নতুনভাবে তৈরী করা সহ আরও কিছু। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ছাত্ররা সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।এমন নয় যে, নয়া সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দৃষ্টিহীনদের এই স্কুলটিতে অব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বতন সরকারের আমল থেকেই স্কুলটি পরিকাঠামোগত সমস্যায় ধুঁকছে। বিশ্বপ্রতিবন্ধী দিবসে নেতামন্ত্রীরা বাণীর ফুলঝুড়িতে অনুষ্ঠান সফল করে তুললেও বাস্তব অন্যকথাই বলে। সরকারিভাবে দৃষ্টিহীনদের জন্য একটি স্কুল তাও মহাকরণ থেকে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে। আর সেই স্কুলেরই দীর্ঘসময় ধরে বেহাল দশা।
নজর পড়েনি প্রশাসনের। শেষপর্যন্ত দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ছাত্রদেরও দাবি আদায়ে অনশন আন্দোলন শুরু করতে হয়। ছাত্রদের দাবিগুলির প্রতি পূর্ণ সমর্থন পোষণ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে এদিন ছাত্ররা অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেও রাজ্য সরকার এখন কি পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই নজর তাদের। আবাসিক ছাত্রদের অভিযোগ ২০১১ সাল থেকে কোনও পুরুষ প্রিন্সিপাল নেই। অবিলম্বে সব সমস্যার সমাধান না হলে ছাত্ররা ফের আন্দোলনে যাবে বলে জানিয়ে দেয়।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং
দীর্ঘদিন ধরেই চলছে নানা অব্যবস্থা। সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শেষপর্যন্ত অনশন আন্দোলনে বসে নরসিংগড় দৃষ্টিহীন আবাসিক স্কুলের পড়ুয়ারা। পরে অবশ্য স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় আবাসিকরা। ১১ দফা দাবিতে সোমবার(২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে অনশন আন্দোলন শুরু করে নরসিংগড়স্থিত দৃষ্টিহীন স্কুলের আবাসিকরা। দাবি আদায়ে তারা স্লোগানও দেয়।
তাদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে স্কুলে একজন পুরুষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওয়ার্ডেন নিয়োগ, স্কুলে ইংরেজি, অংক ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ করা, সঙ্গীত, কম্পিউটার ও শারীর শিক্ষক সরকারিভাবে নিয়োগ করা, নাইটগার্ড ও সুইপার নিয়োগ, সমস্ত ক্লাশে ব্রেইল পাঠ্যবই এর ব্যবস্থা করা, বেহাল শ্রেণীকক্ষগুলি নতুনভাবে তৈরী করা সহ আরও কিছু। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ছাত্ররা সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।এমন নয় যে, নয়া সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দৃষ্টিহীনদের এই স্কুলটিতে অব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বতন সরকারের আমল থেকেই স্কুলটি পরিকাঠামোগত সমস্যায় ধুঁকছে। বিশ্বপ্রতিবন্ধী দিবসে নেতামন্ত্রীরা বাণীর ফুলঝুড়িতে অনুষ্ঠান সফল করে তুললেও বাস্তব অন্যকথাই বলে। সরকারিভাবে দৃষ্টিহীনদের জন্য একটি স্কুল তাও মহাকরণ থেকে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে। আর সেই স্কুলেরই দীর্ঘসময় ধরে বেহাল দশা।
নজর পড়েনি প্রশাসনের। শেষপর্যন্ত দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ছাত্রদেরও দাবি আদায়ে অনশন আন্দোলন শুরু করতে হয়। ছাত্রদের দাবিগুলির প্রতি পূর্ণ সমর্থন পোষণ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে এদিন ছাত্ররা অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেও রাজ্য সরকার এখন কি পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই নজর তাদের। আবাসিক ছাত্রদের অভিযোগ ২০১১ সাল থেকে কোনও পুরুষ প্রিন্সিপাল নেই। অবিলম্বে সব সমস্যার সমাধান না হলে ছাত্ররা ফের আন্দোলনে যাবে বলে জানিয়ে দেয়।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং