মহুয়া কর, আরশিকথাঃ
আগামী ১০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় দাবার আসর। সেই আসরে অংশ নিতে জোর প্রস্তুতি চালিয়েছে রাজ্যের আন্তর্জাতিক দাবাড়ু অর্শিয়া দাস। 'আরশি কথা' পরিবারের পক্ষ থেকে এই ক্ষুদে দাবাড়ুর জন্য রইল অফুরান শুভেচ্ছা।
সদ্যসমাপ্ত রাজ্যভিত্তিক দাবা প্রতিযোগিতায় সাফল্যে পর জাতীয় আসরের জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে অর্শিয়ার। একই সঙ্গে চারটি বয়স বিভাগে এবার অনলাইনে প্রতিযোগিতার সুযোগ পেয়েছে অর্শিয়া। রাজ্য ভিত্তিক দাবা প্রতিযোগিতায় সাফল্যের নিরিখেই অর্শিয়া সুযোগ পেয়ে গেছে মোট চারটি বিভাগে অংশগ্রহণ করার। রাজ্যভিত্তিক আসরে অনূর্ধ্ব ১৬ বছরের বিভাগে উন্মুক্ত লড়াইয়ে যেমন চ্যাম্পিয়নের খেতাব পেয়েছে, ঠিক তেমনি মেয়েদের বিভাগেও খেতাব ছিনিয়ে নেয় অর্শিয়া। পাশাপাশি আরও কিছু গ্রুপে দাদা-দিদিদের সঙ্গে লড়াই করে সফল হওয়ার সুবাদে জাতীয় আসরের বিভিন্ন বিভাগে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায় সে। রাজ্যের গর্ব খুদে এই দাবাড়ুর বাবা পূর্ণেন্দু দাস বিএসএনএল-এর কর্মী, মা অর্ণিশা নাথ দাস গৃহিণী। পরিবারের কেউই কখনও সেভাবে দাবা খেলেন নি।ল্যাপটপ কম্পিউটারে দাবা খেলা দেখে বছর ছয়েক আগে শখ জাগে। তারপর শপিং মল-এ মায়ের সাথে ঘুরতে ঘুরতে দাবার বোর্ড দেখে তার নাছোড় আবদার, এই খেলনাটা তার চাই-ই চাই। সেই থেকে শুরু। অর্শিয়া প্রশিক্ষণ নেয় রাজ্যের একসময়ের প্রখ্যাত দাবাড়ু প্রসেনজিত দত্তের কাছে।
২০১৯ সালে মাত্র ৮ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতায় ভারতের জন্যে সোনার মেডেল জিতে দেশে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছিল সে। সেবছর উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অনুষ্ঠিত এশিয়ান স্কুল দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে ব্লিটজ ইভেন্টে সোনা জেতার পাশাপাশি স্ট্যান্ডার্ড ইভেন্টে ব্রোঞ্জ এবং র্যাপিড ইভেন্টে চতুর্থ স্থান ছিল তার দখলে। সেবছর এই চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের দখলে একমাত্র সোনার মেডেলটি ছিল অর্শিয়ারই দখলে। তাছাড়া অনূর্ধ্ব-৭ ন্যাশনাল গার্লস চ্যাম্পিয়নশিপ, টেলিগ্রাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, নর্থ-ইস্ট চ্যাম্পিয়নশিপসহ প্রচুর খেতাব রয়েছে অর্শিয়ার ঝুলিতে।একজন মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। চলতি মাসের ১০ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত বসছে জাতীয় দাবার আসর। সেই আসরেও অর্শিয়া নিজের সাফল্য ধরে রাখবে বলেই প্রত্যাশা রাজ্যবাসীর। 'আরশি কথা' পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিভাবান খুদে এই দাবাড়ুর সাফল্য কামনা করে রইল অগ্রিম শুভেচ্ছা।
আরশিকথা হাইলাইটস
৭ই জুন ২০২১
অর্শিয়া-র জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইলো।
উত্তরমুছুনঅর্শিয়া নিজের সাফল্য ধরে রাখবে এই প্রত্যাশাই করছি।