Type Here to Get Search Results !

" ইশ! কবে যে যাবো, এ সড়ক দেখতে " ঃ শেখ হাসিনা

ঢাকা ব্যুরো এডিটর,আরশিকথাঃ

বাংলাদেশের সৌন্দর্যের লীলাভূমি হাওরের রূপ দেখতে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক দেখতে যেতে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাওরের বিস্ময় এ সড়কটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধন ঘোষণার পর ভিডিওতে হাওরের বিস্ময় ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কের ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। এসময় হাওর ও সড়কটির সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ইশ! কবে যে যাবো। এ সড়কে (দেখতে) কবে যে যাবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মনটা পড়ে থাকলো। এ সড়ক দিয়ে গাড়িতে কবে যাবো। রাষ্ট্রপতিও চান আমি যেন সরাসরি যাই। আমি যাবো। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে এ সড়ক দেখতে যাবো।

ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কটি এখন আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এরইমধ্যে হাওরের নৈসর্গিক রূপ দেখতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে এখানে ছুটে আসছে মানুষ।

হাওরের বিশাল জলরাশির বুক চিরে চলে গেছে ২৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি। বর্ষায় সড়কের দু’পাশে অথৈ জলরাশি, নির্মল বাতাস আর মনকাড়া ঢেউ। শুকনো মৌসুমে মাইলের পর মাইল ফসলি জমি, যেখানে সবুজ আর সোনালি রং মিলেমিশে একাকার। হাওরের বুকে বিশাল খোলা আকাশের রূপে মুগ্ধ ভ্রমণপিপাসুরা। কখনো ঝকঝকে নীল আকাশ, কখনো আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। ভোরের সূর্য আর গোধূলীতে ভিন্ন রূপে সাজে হাওরের আকাশ।

বর্ষায় মাইলের পর মাইল বিস্তির্ণ জলরাশি, বর্ষা শেষে জলকাদা আর শুকনো মৌসুমে ফসলি জমি। বর্ষায় নৌকা আর অন্য ঋতুতে পায়ে হাঁটা ছাড়া চলাচলের উপায় ছিল না হাওরবাসীর। যোগাযোগে এখানকার মানুষের কষ্ট লাঘবে বিশাল হাওরের মধ্যে সড়ক নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন ‘ভাটির শার্দুল’ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ইচ্ছে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ জেলার তিন উপজেলার মধ্যে সারা বছর চলাচলের জন্য নির্মিত হয় হাওরের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক।

সড়কটি নির্মাণের ফলে শুধু হাওরবাসীর চলাচলের দুর্ভোগ দূর হয়েছে তা নয়, নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে।

২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক প্রকল্পের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ৮৭৪.০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কটি নির্মাণ করেছে।

হাওরের বুক চিরে চলে যাওয়া ২৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ অলওয়েদার সড়কে ৫৯০.৪৭ মিটার দীর্ঘ তিনটি পিসি গার্ডার, ১৯০ মিটার দীর্ঘ ৬২টি আরসিসি বক্স কালভার্ট, ২৬৯.৬৮ মিটার দীর্ঘ ১১টি আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

এরমধ্যে ২৬১.৮১ মিটার দীর্ঘ ভাতশালা সেতু, ১৭১.৯৬৪ মিটার ঢাকী সেতু ও ১৫৬.৭২ মিটার দীর্ঘ ছিলনী সেতু সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।

বর্ষায় ভাঙন থেকে সড়ক রক্ষায় ৭.৬০ লাখ বর্গমিটার সিসি ব্লক দিয়ে স্লোপ প্রটেকশনের কাজ করা হয়েছে।


আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ

৮ই অক্টোবর ২০২০

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.