Type Here to Get Search Results !

ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের পথ অবরোধ

তন্ময় বনিক, আগরতলাঃ
সরকারি জায়গায় কোনও রাজনৈতিক দল কিংবা শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয় থাকতে পারবে না। এই নির্দেশিকা জারি করে গত ৭মে থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন। যেখানে যেখানে সরকারি জায়গায় রাজনৈতিক দলের কার্যালয় রয়েছে সেখানেই নোটিশ ধরানো হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় ঐ চিঠি পৌঁছায় নির্দিষ্ট সময়সীমার পর। অর্থাৎ ৯ কিংবা ১০মে তে গিয়ে চিঠি পৌঁছায়। তাতে লেখা লেখা রয়েছে ৬মের মধ্যে দলীয় কার্যালয় তুলে নেওয়ার জন্য। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের অভিযোগ অন্তত এমনটাই। প্রতিবাদে এবার পথে নেমেছে কংগ্রেস। 
শুক্রবার(১১মে) রাজধানীর মঠচৌমুহনী বাজার এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। মঠচৌমুহনী বাজারের পাশে কামারপুকুর এলাকায় মধুসূদন সাহা স্মৃতি ভবন নামে কংগ্রেসের একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে। নোটিশ ধরানো হয় অন্যান্য কার্যালয়গুলির মতো এটিও তুলে নেওয়ার। কিন্তু তা মেনে নিতে পারেন নি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।  মধুসূদন সাহা স্মৃতি ভবনের সামনে জাতীয় সড়ক অবরোধে বসে পড়েন পিসিসি সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। সঙ্গে ছিলেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়। অনুগামীদের নিয়ে সড়ক অবরোধে বসে পড়েন তারা। কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুমন মজুমদার। এদিকে ৪৪নং জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে রাস্তার দুপাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। শেষপর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত হয়। 
পিসিসি সভাপতি বীরজিৎ সিনহা রাজ্যে নয়া সরকারকে আক্রমন করে বলেন, সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক নীতি কায়েম করা হয়েছে। অবৈধভাবে কংগ্রেসের কার্যালয় গুড়িয়ে দেওয়া চলবে না বলে আওয়াজ তোলেন তিনি। প্রয়োজনে সারা রাজ্য স্তব্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন। এদিকে প্রাক্তন বিধায়কও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে আক্রমন করে প্রবাসী বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 
প্রসঙ্গত, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক মিলিন্দ রামটেক জানিয়েছেন পশ্চিম জেলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রমিক সংগঠনগুলির ১০৪ টি কার্যালয় রয়েছে সরকারি জমিতে। সবগুলির বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

ছবিঋণঃ পূজন বিশ্বাস   

১১ই মে ২০১৮ইং             

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.