তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
স্মরণাতীতকালের মধ্যে রাজ্যের সর্ববৃহৎ গাঁজা বিরোধী অভিযান। সোনামুড়া মহকুমার কমলনগর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৩৩০ কেজি শুকনো গাঁজা। সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সোনামুড়া থানার পুলিশ এবং বিএসএফ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য পায়। বৃহস্পতিবার(২আগস্ট) সোনামুড়ার পাশাপাশি ধর্মনগর আইএসবিটি থেকেও ৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলার সংকল্প নিয়েছেন। সেই অনুযায়ী কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। রাজ্যে সবচাইতে বেশী গাঁজার চাষ হয় সোনামুড়া মহকুমায়। আর এই সোনামুড়া মহকুমা থেকেই গাঁজা বিরোধী অভিযানে এলো সবচাইতে বড় সাফল্য। সিপাহীজলা জেলা পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিলো সোনামুড়া মহকুমার কমলনগরে অবৈধভাবে ব্যাপক পরিমাণ গাঁজা মজুদ রয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলার পুলিশ সুপার কুলদীপ সিং সোনামুড়া থানার পুলিশ ও বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামেন। কমলনগর এলাকায় পানক্ষেত, জঙ্গল ও কিছু বাড়িঘর থেকে উদ্ধার হয় ৮০ ড্রাম ভর্তি গাঁজা। পরিমাপ করে দেখা যায় উদ্ধারকৃত গাঁজার পরিমান ৩৩৬০ কেজি। যা গাঁজা বিরোধী অভিযানে রাজ্য পুলিশের সর্বকালীন রেকর্ড বলা যেতে পারে। এই ঘতনায় পুলিশ দুইজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে। পুলিশ সুপার কুলদীপ সিং জানান, ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত করতে এধরণের অভিযান জারি থাকবে। তিনি নেশাকারবারীদের এই ব্যবসা ছেড়ে আসার আহ্বান জানান। কয়েক ঘণ্টার এই অভিযানে অবশ্য যৌথবাহিনীকে কোনোরকম চাপের মুখে পড়তে হয়নি। এদিকে ধর্মনগর আন্তরাজ্য বাস টার্মিনাস থেকেও গাঁজা বিরোধী অভিযানে সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। ধর্মনগর থানার পুলিশ আইএসবিটিতে অভিযান চালিয়ে ৩৫কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ওসি বেণীমাধব দে। এই ঘটনায় দুই মহিলা সহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। বহিঃরাজ্যে পাচারের উদ্দেশ্যে গাঁজাগুলি আইএসবিটিতে আনা হয়েছিলো। ওসি শ্রী দে জানিয়েছেন, নেশাজাত সামগ্রীর বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রসঙ্গত, এর আগেও ধর্মনগর আইএসবিটি থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিলো। রাজ্যজুড়ে পুলিশ নেশাজাত সামগ্রীর বিরুদ্ধে দফাওয়াড়ি অভিযান চালিয়েছে। জঙ্গল থেকে বাড়িঘর, বাস টার্মিনাস থেকে রেলস্টেশন, বিমানবন্দর বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে গাঁজা, ব্রাউন সুগার সহ বিভিন্ন নেশাজাত সামগ্রী।
ছবিঃ সংগৃহীত
২রা আগস্ট ২০১৮ইং
স্মরণাতীতকালের মধ্যে রাজ্যের সর্ববৃহৎ গাঁজা বিরোধী অভিযান। সোনামুড়া মহকুমার কমলনগর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৩৩০ কেজি শুকনো গাঁজা। সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সোনামুড়া থানার পুলিশ এবং বিএসএফ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য পায়। বৃহস্পতিবার(২আগস্ট) সোনামুড়ার পাশাপাশি ধর্মনগর আইএসবিটি থেকেও ৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলার সংকল্প নিয়েছেন। সেই অনুযায়ী কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। রাজ্যে সবচাইতে বেশী গাঁজার চাষ হয় সোনামুড়া মহকুমায়। আর এই সোনামুড়া মহকুমা থেকেই গাঁজা বিরোধী অভিযানে এলো সবচাইতে বড় সাফল্য। সিপাহীজলা জেলা পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিলো সোনামুড়া মহকুমার কমলনগরে অবৈধভাবে ব্যাপক পরিমাণ গাঁজা মজুদ রয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলার পুলিশ সুপার কুলদীপ সিং সোনামুড়া থানার পুলিশ ও বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামেন। কমলনগর এলাকায় পানক্ষেত, জঙ্গল ও কিছু বাড়িঘর থেকে উদ্ধার হয় ৮০ ড্রাম ভর্তি গাঁজা। পরিমাপ করে দেখা যায় উদ্ধারকৃত গাঁজার পরিমান ৩৩৬০ কেজি। যা গাঁজা বিরোধী অভিযানে রাজ্য পুলিশের সর্বকালীন রেকর্ড বলা যেতে পারে। এই ঘতনায় পুলিশ দুইজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে। পুলিশ সুপার কুলদীপ সিং জানান, ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত করতে এধরণের অভিযান জারি থাকবে। তিনি নেশাকারবারীদের এই ব্যবসা ছেড়ে আসার আহ্বান জানান। কয়েক ঘণ্টার এই অভিযানে অবশ্য যৌথবাহিনীকে কোনোরকম চাপের মুখে পড়তে হয়নি। এদিকে ধর্মনগর আন্তরাজ্য বাস টার্মিনাস থেকেও গাঁজা বিরোধী অভিযানে সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। ধর্মনগর থানার পুলিশ আইএসবিটিতে অভিযান চালিয়ে ৩৫কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ওসি বেণীমাধব দে। এই ঘটনায় দুই মহিলা সহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। বহিঃরাজ্যে পাচারের উদ্দেশ্যে গাঁজাগুলি আইএসবিটিতে আনা হয়েছিলো। ওসি শ্রী দে জানিয়েছেন, নেশাজাত সামগ্রীর বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রসঙ্গত, এর আগেও ধর্মনগর আইএসবিটি থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিলো। রাজ্যজুড়ে পুলিশ নেশাজাত সামগ্রীর বিরুদ্ধে দফাওয়াড়ি অভিযান চালিয়েছে। জঙ্গল থেকে বাড়িঘর, বাস টার্মিনাস থেকে রেলস্টেশন, বিমানবন্দর বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে গাঁজা, ব্রাউন সুগার সহ বিভিন্ন নেশাজাত সামগ্রী।
ছবিঃ সংগৃহীত
২রা আগস্ট ২০১৮ইং