Type Here to Get Search Results !

ত্রাণ সংগ্রহে গিয়ে বাঁধার মুখে সিপিএম

তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
 বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর এই প্রথম কোনও কর্মসূচীতে নেমে বাধাপ্রাপ্ত হলো সিপিএম। তাও কেরালায় বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহে নেমে। মহারাজগঞ্জ বাজারে ত্রাণ সংগ্রহে গেলে বাঁধার মুখে পরতে হয় তাদের। প্রথমটায় সিপিএম নেতৃত্বরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়ালেও পরে অবশ্য বাধ্য হয়ে চলে আসেন তারা। এরজন্য দায় চাপানো হয় শাসক দল তথা বিজেপি'র উপর। সোমবার(২৭আগস্ট) সকালে মহারাজগঞ্জ বাজারের মাছপট্টি থেকে ত্রাণ সংগ্রহ শুরু করেন সিপিএম এর নেতাকর্মীরা। এদিনের এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর, প্রাক্তন বিধায়ক রতন দাস ও সদর মহকুমা কমিটির সম্পাদক শুভাশিস গাঙ্গুলি। প্রথম কয়েকটি দোকানে ত্রাণ সংগ্রহের পরই বাঁধার মুখে পরতে হয় তাদের। 
ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ জানান। তাদের অভিমত, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। তাতে সমগ্র ত্রিপুরাবাসীরই টাকা রয়েছে। কাজেই সিপিএমকে পুনরায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য টাকা দেওয়ার কোনও মানে নেই। 
ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সত্বেও ত্রাণ সংগ্রহকারীরা বিভিন্ন দোকানে যান। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ব্যবসায়ীদের অনেকে। ব্যবসায়ীরা বলেন, এখন ব্যবসা কিছুটা মন্দা। তার উপর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যেহেতু ত্রাণ পাঠানো হয়েছে তাই সিপিএমকে টাকা দেওয়ার কোনও অর্থ নেই। ব্যবসায়ীরা কথা চলাকালীন বেশী উত্তেজিত হয়ে পরলে ঐ স্থান থেকে চলে আসেন ত্রাণ সংগ্রহকারীরা। তারপর পবিত্র কর সাংবাদিকদের বলেন, ত্রাণ সংগ্রহে বাঁধাদানকারীরা মনে হচ্ছে ব্যবসায়ী নয়। ঘটনা খুবই দুঃখজনক। মানুষ এর বিচার করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গত ২১ আগস্ট থেকে কেরালায় দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করছে সিপিএম। ইতিমধ্যেই বেশকিছু জায়গা থেকে বাঁধা এসেছে। রবিবার(২৬আগস্ট) প্রতাপগড়ে ত্রাণ সংগ্রহে গিয়েও বাঁধার মুখে পরতে হয় বলে জানান সিপিএমের পশ্চিম জেলা সম্পাদক শ্রী কর।

ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৭শে আগস্ট ২০১৮ইং
       

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.