শিশুরা রাজ্য বা দেশের ভবিষ্যৎ। ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়াকে গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করতে হবে। শুধু ভিডিও গেম খেললে হবে না। এখনকার দিনে মেধাবীরা রাজনীতিতে আসতে চাইছে। এটাই উন্নত ভারত গড়ার নতুন দিশা। জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে আয়োজিত রাজ্যের মূল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথাগুলি বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
এদিনের অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের মধ্যে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ, রাজস্বমন্ত্রী এন সি দেববর্মা, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের আগরতলা শাখার অধ্যক্ষ হিতকামানন্দ মহারাজ সহ অন্যান্যরা।
মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে বরাবরের মতোই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে দেশের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে। আধুনিক ভারত গড়তে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই এর জন্য শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের পরামর্শ দেন ইন্টারনেটকে নেতিবাচক নয় গঠনমূলক কাজে ব্যবহারের। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদযাপন করা হলেও মুখ্যমন্ত্রী এদিন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ করলেন জওহরলাল নেহেরুকে স্মরণ করতে শোনা যায়নি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল থেকে ছাত্রছাত্রীরা র্যালি করে আসে।
বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের নাচগানের পরিবেশনা দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে তোলে।
এবছরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এক ভিন্ন স্বাদ আস্বাদন করেন সবাই।
শান্তির বার্তা হিসেবে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে এদিন কচিকাঁচাদের মধ্যে বেশ উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৫ই নভেম্বর ২০১৮ইং