আবু আলী, ঢাকা ॥
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য আয়োজন যথাযথ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের জন্য দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। একই সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ মাটির নতুন প্রজন্মের মধ্যে সাহসী ও ত্যাগী নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছে তিনি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বছরজুড়ে মুজিববর্ষের আয়োজনের উদ্বোধনে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এই প্রত্যাশার কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করাই হোক মুজিববর্ষে সকলের অঙ্গীকার। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান; যার হাত ধরে এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে উদযাপন করছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার তার জন্মদিনে সূচনা হল সেই বর্ষগণনার।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার আদর্শ আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তার নীতি ও আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সাহসী, ত্যাগী ও আদর্শবাদী নেতৃত্ব, এ প্রত্যাশা করি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি ভাষণে বলেন, বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি । এজন্য তাকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। সহ্য করতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। কিন্তু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে তিনি কখনো শাসকগোষ্ঠীর সাথে আপস করেননি।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতীক। বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচাসহ তার উপর লিখিত গ্রন্থ অধ্যয়ন করে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীতে জাতিগঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। দেশ ও জনগণের প্রতি জাতির পিতার যে অসামান্য অবদান, সেজন্যই বাংলা, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু আজ ‘এক ও অভিন্ন সত্তায়’ পরিণত হয়েছে।
১৭ই মার্চ ২০২০
১৭ই মার্চ ২০২০