লকডাউন উঠে গেলে সংক্রমণের হার বেড়ে যাবে। মানুষ মৃত্যুর পর জানবে তার দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিলো।মহামারীকালে লকডাউন তুলে নেওয়াকে মানুষের চেয়ে পুঁজিবাদকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। রাষ্ট্র তো পুঁজিবাদের দাস নয় ! বলা হচ্ছে লকডাউন সীমিতভাবে খুলে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু মানুষ সেই সীমার মধ্যে নিজেদেরকে তো সীমিত রাখছে না। নিজেরা হামলে পড়ছে বাজারে। যেনো এবার যদি বাজারে হামলে পড়া না যায় তবে পরে কিছুই পাওয়া যাবে না।
এর সাথে তাল মেলাতে গিয়ে রাষ্ট্র যে পন্থা অবলম্বন করছে তাতে কি মনে হয়না যে রাষ্ট্র কোনভাবে দায়মুক্তি চাইছে ? জনগণ কি সঠিক অর্থে চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকমত পাচ্ছে ? খাদ্য সামগ্রী যাও পাবার ছিলো তাও চালচোর আর অর্থ তছরূপকারীদের পাল্লায় পড়ে তাদের কপাল দশা যেনো আর পিছু ছাড়ছে না। আমরা ক্রমশঃ মৃত্যুর দিকে একপা দুপা করে এগুচ্ছি। অফিস আদালত,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন উন্মুক্ত করে দেবার ফলে মৃদু সংক্রমণ এখন গণসংক্রমণে রূপান্তরিত হবে। মৃত্যুর হারও বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।ফ্রান্সে স্কুলগুলোকে খুলে দেবার ফলে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। আমরাও সেইপথে অগ্রসর হচ্ছি। আমেরিকার মতো উন্নত দেশও যেখানে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হতে দেখেছে সেখানে আমাদের মতো পশ্চাৎপদ দেশ কিভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে সেটাই এখন ভাবার বিষয়। তাই লকডাউন তুলে নেবার সময় এখনও হয় নি। বরং সরকারকে কারফ্যু'র মতো কঠিন আইনী পদক্ষেপ নেবার মতো অবস্থায় উপনীত হবার সময় এসেছে। দেশের মানুষকে বাঁচাতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই বলেই সচেতন মহল মনে করছেন।
সাইফুর রহমান কায়েস
বাংলাদেশ
৩০শে মে ২০২০
এর সাথে তাল মেলাতে গিয়ে রাষ্ট্র যে পন্থা অবলম্বন করছে তাতে কি মনে হয়না যে রাষ্ট্র কোনভাবে দায়মুক্তি চাইছে ? জনগণ কি সঠিক অর্থে চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকমত পাচ্ছে ? খাদ্য সামগ্রী যাও পাবার ছিলো তাও চালচোর আর অর্থ তছরূপকারীদের পাল্লায় পড়ে তাদের কপাল দশা যেনো আর পিছু ছাড়ছে না। আমরা ক্রমশঃ মৃত্যুর দিকে একপা দুপা করে এগুচ্ছি। অফিস আদালত,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন উন্মুক্ত করে দেবার ফলে মৃদু সংক্রমণ এখন গণসংক্রমণে রূপান্তরিত হবে। মৃত্যুর হারও বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।ফ্রান্সে স্কুলগুলোকে খুলে দেবার ফলে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। আমরাও সেইপথে অগ্রসর হচ্ছি। আমেরিকার মতো উন্নত দেশও যেখানে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হতে দেখেছে সেখানে আমাদের মতো পশ্চাৎপদ দেশ কিভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে সেটাই এখন ভাবার বিষয়। তাই লকডাউন তুলে নেবার সময় এখনও হয় নি। বরং সরকারকে কারফ্যু'র মতো কঠিন আইনী পদক্ষেপ নেবার মতো অবস্থায় উপনীত হবার সময় এসেছে। দেশের মানুষকে বাঁচাতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই বলেই সচেতন মহল মনে করছেন।
সাইফুর রহমান কায়েস
বাংলাদেশ
৩০শে মে ২০২০