করোনা ভাইরাস নাকি আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে যাবে! এখন মানুষ নাকি বুঝে গেছে আমরা আগে যা করেছি পশুপাখির সাথে , তাই ফিরে পাচ্ছি, প্রকৃতি তার শক্তি এবার দেখাচ্ছে আমাদের। আমাদের আঙ্গুল তুলে বুঝিয়ে দিচ্ছে পৃথিবীটা আমাদের সবার, আমাদের সবার একসাথে বাঁচতে হবে। শুধু মনুষ্য নির্মীত বিশাল অট্টালিকতেই না, প্রাণীরা জঙ্গলে , আকাশে , গাছে সবখানে নিরাপদে , আনন্দে বাঁচতে চায় ।মানুষ নাকি এই লকডাউনে এটা বুঝেছে, তা শিখেছে। সত্যি কি তাই ?
আমার এই ভুল ধারণাটা ভেঙে গেলো আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই মোবাইলের একটা স্ট্যাটাস দেখে । সকাল সকাল মোবাইলটা হাতে নিয়ে ফেইসবুকে সবে মাত্র লগ ইন করেছি, হটাৎ একটা স্ট্যাটাস রীতিমতো গালে থাপ্পড় দিয়ে বুঝিয়ে দিল মানুষ তার নামের অর্থই ভুলে গেছে। মান আর হুশ এই দুটোর সমন্বয়ে নাকি সৃষ্টি মানুষ । তবে কি আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এত এত বিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে মানুষই খুব কমে গেলো ?
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন " জীবে প্রেম করে যেই জন , সেই জন সেবিছে ইশ্বর " এই বাণীটা ছোটবেলা প্রত্যেককে কেনো মানে বুঝিয়ে পড়ানো হয় নি??একটা নিরীহ হাতিকে নির্মমভাবে কষ্ট দিয়ে , যন্ত্রণা দিয়ে মেরে বিশাল ইশ্বর গণেশের পূজা করাটা কি এই বিবেকানন্দের দেশে মানায় ?
অন্তত আমার তো মনে হয় না ।
আচ্ছা যাই হোক, এসব বাদ দিলাম , এতটুকু ত বুঝা উচিৎ ছিল সেই অবলা প্রাণীটি গর্ভবতী ছিল। ৬ মাসের একটা নিষ্পাপ, ছোট্ট সুন্দর প্রাণ বড়ো হচ্ছিল হাতিটির গর্ভে , সবচেয়ে বড় স্থলচর প্রাণী হওয়ার অপেক্ষায়। সেই ছোট্টটি র কি দোষ ছিল?
১৮ মাস সময় নেয় একটি মা হাতি শিশু জন্ম দিতে । আর আমরা এত সহজে সব শেষ করে দিতে পারি ? আরে হ্যাঁ , আমরা তো ভগবান সৃষ্ট সব চাইতে উন্নত জীব । আমরা সব পারি । জিহ্বা ,মুখের ভিতর বিস্ফোরণে জ্বলে যাওয়ার যন্ত্রণা নিয়েও বাঁচতে চেয়েছিল সেই মা, তার সন্তানকে জীবন দিতে । জল থেকে তাকে উঠানো যায় নি দিনের পর দিন। ক্ষতস্থানে পোকা বসলে রোগ হবে বাচ্চা কষ্ট পাবে তাই । তবে কি আমাদের কেনো মায়া জাগেনি তাদের প্রতি?
এত কষ্ট দিয়ে কি করে আমরা খুশি থাকবো? প্রকৃতি মাও তো এসব দেখছে । কথায় বলে এক মা এর অন্য মায়ের কষ্ট সহ্য হয় না । তাই আরো প্রাকৃতিক তান্ডব দেখতে আমাদের তৈরি থাকা উচিত ।
ঋতুপর্ণা দেবনাথ
ত্রিপুরা
৩রা জুন ২০২০
আমার এই ভুল ধারণাটা ভেঙে গেলো আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই মোবাইলের একটা স্ট্যাটাস দেখে । সকাল সকাল মোবাইলটা হাতে নিয়ে ফেইসবুকে সবে মাত্র লগ ইন করেছি, হটাৎ একটা স্ট্যাটাস রীতিমতো গালে থাপ্পড় দিয়ে বুঝিয়ে দিল মানুষ তার নামের অর্থই ভুলে গেছে। মান আর হুশ এই দুটোর সমন্বয়ে নাকি সৃষ্টি মানুষ । তবে কি আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এত এত বিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে মানুষই খুব কমে গেলো ?
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন " জীবে প্রেম করে যেই জন , সেই জন সেবিছে ইশ্বর " এই বাণীটা ছোটবেলা প্রত্যেককে কেনো মানে বুঝিয়ে পড়ানো হয় নি??একটা নিরীহ হাতিকে নির্মমভাবে কষ্ট দিয়ে , যন্ত্রণা দিয়ে মেরে বিশাল ইশ্বর গণেশের পূজা করাটা কি এই বিবেকানন্দের দেশে মানায় ?
অন্তত আমার তো মনে হয় না ।
আচ্ছা যাই হোক, এসব বাদ দিলাম , এতটুকু ত বুঝা উচিৎ ছিল সেই অবলা প্রাণীটি গর্ভবতী ছিল। ৬ মাসের একটা নিষ্পাপ, ছোট্ট সুন্দর প্রাণ বড়ো হচ্ছিল হাতিটির গর্ভে , সবচেয়ে বড় স্থলচর প্রাণী হওয়ার অপেক্ষায়। সেই ছোট্টটি র কি দোষ ছিল?
১৮ মাস সময় নেয় একটি মা হাতি শিশু জন্ম দিতে । আর আমরা এত সহজে সব শেষ করে দিতে পারি ? আরে হ্যাঁ , আমরা তো ভগবান সৃষ্ট সব চাইতে উন্নত জীব । আমরা সব পারি । জিহ্বা ,মুখের ভিতর বিস্ফোরণে জ্বলে যাওয়ার যন্ত্রণা নিয়েও বাঁচতে চেয়েছিল সেই মা, তার সন্তানকে জীবন দিতে । জল থেকে তাকে উঠানো যায় নি দিনের পর দিন। ক্ষতস্থানে পোকা বসলে রোগ হবে বাচ্চা কষ্ট পাবে তাই । তবে কি আমাদের কেনো মায়া জাগেনি তাদের প্রতি?
এত কষ্ট দিয়ে কি করে আমরা খুশি থাকবো? প্রকৃতি মাও তো এসব দেখছে । কথায় বলে এক মা এর অন্য মায়ের কষ্ট সহ্য হয় না । তাই আরো প্রাকৃতিক তান্ডব দেখতে আমাদের তৈরি থাকা উচিত ।
ঋতুপর্ণা দেবনাথ
ত্রিপুরা
৩রা জুন ২০২০