Type Here to Get Search Results !

বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের সঙ্গে কারও তুলনা হয় না: তথ্যমন্ত্রী,বাংলাদেশ

আবু আলী, ঢাকা, আরশিকথা ॥ ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক অকৃত্রিম। এর সঙ্গে অন্য কারোর সম্পর্কের তুলনা হয় না। ২ সেপ্টেম্বর বুধবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশের বিদায়ী সাক্ষাতের পর বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তথ্য সচিব কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা ভারতীয় হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ ছিল। তিনি সচিব মর্যাদায় পদোন্নতি পেয়ে দিল্লি যাচ্ছেন। তার এ পদোন্নতিতে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। তথ্যমন্ত্রী এ সময় সদ্য প্রয়াত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং তার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের পাশাপাশি আজ বাংলাদেশেও প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক চলছে।’ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকায় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশের অবস্থানকালে আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে। বিশেষ করে, বহু বছরের আলাপ-আলোচনার পর গত বছর থেকে ভারতে প্রথমবারের মতো আমাদের বিটিভি পুরো ভারতবর্ষে ফ্রি ডিসের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। একই সাথে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠানমালাও সেখানে সম্প্রচার হচ্ছে। এগুলো বড় কাজ। বহু বছর ধরে তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চললেও আগে জট খোলেনি। সমস্ত জট খুলে এগুলো করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি বায়োপিক নির্মিত হচ্ছে। কোভিডের কারণে এর কাজ আপাতত বন্ধ আছে, তবে খুব শিগগির কাজ শুরু হবে। আমরা খুব শিগগির দুই দেশের যৌথ প্রযোজনায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম নির্মাণও শুরু করব।’ রীভা গাঙ্গুলি দাশ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের খুব বড় বন্ধু ছিলেন। আমি আগেও বাংলাদেশে ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত কাজ করেছি, তখন প্রণব বাবু এসেছিলেন। আমি তার সঙ্গে নোয়াখালীতে গান্ধী আশ্রমে গিয়েছিলাম। ওনার সঙ্গে খুব ভালো স্মৃতি আছে। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর হবে। দুই দেশের অনেক ক্ষেত্র আছে যেখানে আমরা একসাথে কাজ করতে পারি।‘ বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনারকে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক তিনটি বই এবং আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা হস্তান্তর করেন। রীভা গাঙ্গুলিও মন্ত্রীর হতে স্মারক তুলে দেন।

আরশিকথা
২রা সেপ্টেম্বর ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.