আবু আলী, ঢাকা, আরশিকথা ॥
ভারতে বাংলাদেশের ওয়াশিং মেশিন রপ্তানি শুরু করেছে ওয়ালটন। স্থানীয় বাজারে শীর্ষস্থানের পর বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য ছড়িয়ে দিতে ব্যাপকভাবে কাজ করছে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতে ওয়াশিং মেশিন রপ্তানি শুরু করলো বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। এর আগে থেকেই প্রতিবেশী দেশটিতে রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে আসছে ওয়ালটন।
জানা গেছে, ভারতের বাজারের জন্য দণি কোরিয়ার একটি খ্যাতনামা ব্র্যান্ড ওয়ালটনের কাছ থেকে ওয়াশিং মেশিন নিচ্ছে। ওইএম (ওরিজিনাল ম্যানুফ্যাকচারার) হিসেবে ব্র্যান্ডটিকে ওয়াশিং মেশিন তৈরি করে দিচ্ছে ওয়ালটন। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত সেমি অটোমেটিক মডেলের ওয়াশিং মেশিনের প্রথম শিপমেন্টটি চলতি মাসের ১৫ তারিখে ভারত যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ভারতে অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনও রপ্তানি করবে ওয়ালটন।
বুধবার রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজন করা হয় এক ইনঅগুরেশন সিরিমনির। ‘এক্সপোর্টিং ওয়াশিং মেশিন টু ইন্ডিয়া’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান ও মো. হুমায়ূন কবীর, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের (আইবিউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিইও প্রকৌশলী আল ইমরান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর রাকিবুল ইসলাম ও প্রকৌশলী সৈয়দ আল ইমরান, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর প্রকৌশলী আব্দুর রউফ, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অগাস্টিন সুজন, সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর প্রকৌশলী চিরঞ্জিত পাল, ডেপুটি ডিরেক্টর ওলগা আলমসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে আল ইমরান বলেন, ‘বিশ্ববাজারে ওয়াশিং মেশিনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ওয়াশিং মেশিনের বৈশ্বিক বাজার প্রায় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ভারতের মতো বিশাল জনবহুল দেশে ওয়াশিং মেশিনের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১ কোটি ইউনিট। সুতরাং দেশটিতে ওয়াশিং মেশিনের রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি জানান, আগামী বছরের মধ্যে ভারতে অন্তত ১ লাখ ইউনিট ওয়াশিং মেশিন রপ্তানির ল্য রয়েছে ওয়ালটনের। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়াশিং মেশিন রপ্তানি কার্যক্রম জোরদার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।