বাংলাদেশের মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় স্পিডবোট ও বালুবোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষে ২৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ। চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন।শিবচর থানার পরিদর্শক আমির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘স্পিডবোটে ৩৫ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। বাংলাবাজার ঘাটে নোঙ্গর করা বাল্কহেডে এসে ধাক্কা দিলে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। এ পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া, পাঁচ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বাকি চার জন শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। চর জানাজত নৌ-পুলিশের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট থেকে যাত্রী বহন করে একটি স্পিডবোট বাংলাবাজার ঘাটের কাছে আসছিল। নদীর তীরে আড়াআড়িভাবে নোঙর করে রাখা একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাত্রীবাহী স্পিডবোটটি উল্টে যায়। চালকের অদক্ষতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন বলেন, ‘লকডাউন চলাকালে নির্দেশনা অমান্য করে একটি স্পিডবোট মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে আসে। সকালে আলো কম থাকায় চালকের অদক্ষতায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ প্রসঙ্গত, সোমবার (০৩ মে) সকাল ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কোস্টগার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আমিরুল হক বলেন, সমন্বিত চেষ্টায় এখন পর্যন্ত একজনকে জীবিত এবং ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর বাইরে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। জীবিত পাঁচ জন শিবচরের পাঁচচরের রয়েল হাসপাতালসহ স্থানীয় হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে একজন মারা গেছেন। তিনি আরও বলেন, এখনও কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অন্যদিকে স্পিডবোট ও বালুবোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আজহারুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
৩রা মে ২০২১