Type Here to Get Search Results !

আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ দূতালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন

প্রভাষ চৌধুরী, ধাকা,আরশিকথাঃ যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ’র দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার (০৭ মার্চ) আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন দুই পর্বে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রথম পর্ব সকাল ৯টায় দূতালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর পরই দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। দ্বিতীয় পর্ব সকাল ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর সকাল ১১টা ৫ মিনিটে জাতির পিতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সকাল ১১টা ৬ মিনিটে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। অতঃপর সকাল ১১টা ১৬ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অত্র মিশনের প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মিহির দেব, মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব শ্রী স্বপন ভট্টাচার্য, মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব শ্রী শ্যামল চৌধুরী, প্রাক্তন বিধায়ক শ্রী নকুল দাস, বিশিষ্ট গীতিকার শ্রী সুবিমল ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. আশিষ কুমার বৈদ্য, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. মুজাহিদ রহমান, বিশিষ্ট গবেষক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. মোস্তফা কামাল এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্রী অমিত ভৌমিক। সম্মানিত বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় ইতিহাসে ৭ই মার্চের ভাষণ মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা বাঙালি জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ বলেও তারা উল্লেখ করেন।
সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ তার সমাপনী বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিক নির্দেশনা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরাবাসী বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের জন্য যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিল তাও কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরণ করেন আরিফ মোহাম্মাদ। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থানীয় নেতা, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সিভিল সোসাইটির গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ মাস্ক পরে যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপস্থিত হন। অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন অত্র মিশনের প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক চৌধুরী।


আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ

৭ই মার্চ ২০২২
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.