বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস এবং জাতীয় দিবস অন্যান্যবারের মতো এবছরও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে আগরতলাস্থিত সেদেশের সহকারী হাইকমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার সকালে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে।উপস্থিত ছিলেন সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মহাম্মদসহ অন্যান্য আধিকারিক এবং স্থানীয় লেখক, সাহিত্যিকরা। দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন, বাণী পাঠ, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা এসবের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। প্রসঙ্গত ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী বন্ধন সুদৃঢ় রাখতে বরাবরই এ ধরনের অনুষ্ঠান দুই রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতীয়দের অবদানের কথা সেই রাষ্ট্রের নাগরিকরা ভুলে যাননি। দুই রাষ্ট্রের মধ্যে বজায় রয়েছে বন্ধুত্বের সম্পর্ক।সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হোটেলে সহকারী হাইকমশনের তরফে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
তিনি এদিন মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট সহ ত্রিপুরা রাজ্যের অবদানের কথা স্মরণ করেন।এছাড়াও এদিন অনুষ্ঠানে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, রাজ্যের মন্ত্রীসভার সদস্য প্রণজিৎ সিংহ রায়, রামপ্রসাদ পাল, বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ রেবতি মোহন দাস সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে উপস্থিত সবার মন জয় করে নেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৬শে মার্চ ২০২২