এরপর সকাল ৯টায় শুরু হয় ত্রিপুরায় বসবাসরত বিভিন্ন বয়সী স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের অংশগ্রহণে তিন ক্যাটাগরিতে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় পর্ব সকাল ১০টায় কার্যালয় প্রাঙ্গণে সহকারী হাই কমিশনের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে ২য় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সকাল ১০টায় ৫ মিনিটে জাতির পিতার স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন এবং পরবর্তীতে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। অতঃপর সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে জাতির পিতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও কর্মধারার ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।সকাল সাড়ে ১০টায় জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক, আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের নিয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জন্মদিনের কেক কাটা হয়। এরপর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অত্র মিশনের প্রথম সচিব এস. এম. আসাদুজ্জামান। দিবসের তাৎপর্য এবং বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবন ও আদর্শের ওপর আলোচনা করেন ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব শ্রী স্বপন ভট্টাচার্য, মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব শ্রী শ্যামল চৌধুরী ও সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মিহির দেব, বিশিষ্ট গীতিকার শ্রী সুবিমল ভট্টাচার্য, সাবেক বিধায়ক ও মন্ত্রী শ্রী জহর সাহা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আশিষ কুমার বৈদ্য, ড. দেবব্রত দেবরায়, ড. মুজাহিদ রহমান, ড. মোস্তফা কামাল, শ্রী রণজিত দেবনাথ, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্রী অমিত ভৌমিক প্রমুখ। সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ তার সমাপনী বক্তব্যে উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধু একজন সফল রাষ্ট্রনায়কের পাশাপাশি শিশুদের কাছেও ছিলেন ভীষণ প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তার দুয়ার শিশুদের জন্য ছিল সব সময় উন্মুক্ত। শিশুদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার নিমিত্তে ও শিশুদের সুরক্ষায় তিনি ১৯৭৪ সালে জাতীয় শিশু আইন প্রণয়ন করেন ও বঙ্গবন্ধু গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনকে ঢেলে সাজান বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত দু’জন ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করেন। বেলা ১১টায় ত্রিপুরার শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমন্ত্রিত দর্শক ও শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠান শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে আকর্ষণীয় পুরস্কার হিসেবে এককালীন শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হয় এবং অংশগ্রহণকারী সব শিশুকে সহকারী হাই কমিশনের পক্ষ থেকে সনদ দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মিশনের প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীএবং চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বয়সী স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিকে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন অত্র মিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান এস. এম. আসাদুজ্জামান।
আরশিকথা বাংলাদেশ বিভাগ
১৭ই মার্চ ২০২২