Type Here to Get Search Results !

কাঙ্গাল হরিনাথ প্রেস হস্তান্তর চুক্তি স্বাক্ষরঃ আরশিকথা বাংলাদেশ

আরশিকথা নিউজ ডেস্ক, বাংলাদেশঃ

গ্রাম বাংলার রেনেসাঁ পুরুষ গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের ব্যবহৃত ঐতিহাসিক এম এন প্রেসটি জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর চুক্তির স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের নব নির্মিত বোর্ড সভা কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিনামা স্বাক্ষর করা হয়েছে। রোববার (১৬ জুলাই) মুঠোফোনে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

এ সত্ত্ব হস্তান্তর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন কাঙ্গাল হরিনাথের চতুর্থ বংশধরের স্ত্রী শ্রীমতী গীতা মজুমদার। আর জাতীয় জাদুঘরের পক্ষে স্বাক্ষর করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। চুক্তি পত্রে ১ নম্বর সাক্ষীর স্বাক্ষর করেন কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের পঞ্চম বংশধর দীপঙ্কর মজুমদার এবং দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে সাক্ষর করেন সাংবাদিক কে এম আর শাহীন। প্রেসটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তুভিটা থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে নিয়ে আসা হবে।

জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, গত শনিবার জাতীয় জাদুঘরের নব নির্মিত বোর্ড সভা কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিনামা স্বাক্ষর করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় জাদুঘর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তিনি আরও জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসটি জাদুঘরে হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু বিনিময়ের বিষয়টি তিনি পরিবার থেকে জেনে নেয়া কথা জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের পঞ্চম বংশধর দীপঙ্কর মজুমদার জানান, ‘২০ লাখ টাকার চেক ও দুইজনের চাকরির বিনিময়ে তার মা প্রেসটি হস্তান্তরের চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেছেন। চেকটি তারা হাতে পেয়েছেন। এই বিনিময়ে তিনি খুব খুশি।জানতে চাইলে চুক্তিনামার দ্বিতীয় সাক্ষী সাংবাদিক কে এম আর শাহীন জানান, দু'পক্ষের সমন্বয়হীনতার অভাবে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। ২০ লাখ টাকা ও বংশধরদের দুইজনের চাকরির বিনিময়ে এ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করছেন।

কুমারখালী কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ বলেন, ‘২০১৭ সালে স্মৃতি জাদুঘরটি চালু হলেও প্রেসটি এখনো কাঙ্গাল হরিনাথের বাস্তুভিটায়। দর্শনার্থীরা এসেই আগে প্রেসটি দেখতে চান। নানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঐতিহাসিক সত্ত্বটি হস্তান্তর করছেন বংশধরেরা। খুব শীঘ্রই জাদুঘরে দেখা যাবে প্রেসটি।’


আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ


তথ্য ও ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট

২৩ জুলাই,২০২৩


 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.