অভ্যন্তরীণ কাঁচামাল সংকট, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, চাহিদা কমে যাওয়া এবং সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতার অভাবে অনেক কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন ভারতের টেক্সটাইল শিল্প মালিকরা। এই পরিস্থিতিতে রফতানি আয় কমে যাওয়ায় দেশটির সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছেন অনেকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিবকুমার ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কোয়েম্বাটুর শহরের একটি ফাউন্ড্রির (ঢালাই শিল্পের) পরিচালক। রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলো থেকে তার কারখানার জন্য স্ক্র্যাপ (ভাঙারি) কেনা হয়। সম্প্রতি তিনি একটি টেক্সটাইল কারখানা থেকে ২৫০ টন স্ক্র্যাপ কিনেছেন, যা রাজ্যের কোয়েম্বাটুর থেকে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার দূরত্বে।
গত কয়েক মাসে তামিলনাড়ুতে বেশকিছু টেক্সটাইল কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আবার অনেকে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য যন্ত্রপাতি বিক্রি করে দিয়েছে, শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিয়েছে যা তাদের বেতনে প্রভাব পড়েছে। সবমিলিয়ে শিল্প উৎপাদন সূচকে বস্ত্র ও পোশাক শিল্প সঙ্কুচিত হয়েছে।চলতি বছর তুলা মৌসুমে খুচরা বিক্রয় গত বছরের তুলনায় সমান হলেও অভ্যন্তরীণ চাহিদা অনেক কম। চলতি বছরের এপ্রিল-অক্টোবরে রফতানি বাণিজ্যে টেক্সটাইলের চালান শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ কমেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
গত অক্টোবরে পোশাক রফতানি ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ কমেছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল-অক্টোবরে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ কমেছে।ভারতীয় বস্ত্র খাত মূলত তুলাভিত্তিক। বর্তমানে দেশটিতে তুলার উৎপাদন ও ফলন নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০১৩-১৪ তুলা মৌসুমে উৎপাদন ও ফলন যথাক্রমে ৩৯৮ লাখ বেল এবং ৫৬৬ কেজি প্রতি হেক্টরে পৌঁছেছিল।২০২১-২২ সালে প্রকৃত উৎপাদন ছিল ৩১০ লাখ বেল এবং ফলন প্রতি হেক্টরে ৪৫১ কেজি। ২০২১ সালে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ আরোপ করার ফলে সেই বছর তুলার দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। এরপর গত অক্টোবর থেকে পতন ঘটে। যা কৃষক এবং শিল্প খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আইসিএফের সচিব নিশান্ত আশিস জানিয়েছেন, সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত ভারসাম্যপূর্ণ এবং দীর্ঘমেয়াদি হওয়া উচিত, যা কৃষক ও ভোক্তা শিল্পকে উপকৃত করবে। ২০০৮ থেকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত তুলার ওপর আমদানি শুল্ক করত না।
তথ্য ও ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
৯ই ডিসেম্বর ২০২৩