Type Here to Get Search Results !

বাংলাদেশে ফের আওয়ামী লীগের জয়।। অধিক মজবুত ভারত-বাংলা সম্পর্ক ।। সুফল পাবে ত্রিপুরাও

অরূপ চক্রবর্তী, আগরতলা,আরশিকথাঃ


দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর বাংলাদেশের সার্বিক উন্নতি এবং প্রগতির জন্য নিরন্তর কাজ করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত বাংলাদেশের মানুষও  প্রাণ ঢেলে সমর্থন করেছে শেখ হাসিনার দলকে। বিপুল সংখ্যক আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মত বাংলাদেশে সরকার,গঠন করতে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগ দল। এই জয়  বৃহৎ অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জয়। দেশের জন্য আর মানুষের জন্য শেখ হাসিনা সরকারের নিরন্তর প্রয়াসের প্রতি মানুষের ভালবাসার জয় ।এই জয় সমগ্র গণত্রন্ত্র প্রিয় বাংলাদেশবাসীর জয়।

বস্তুত বিগত বছর গুলিতে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার সরকার যে বিপুল প্রয়াস এবং কাজ করেছে এই বিরাট জয় তারই প্রতিফলন বলে রাজনৈতিক বোদ্ধাদের অভিমত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থিক এবং সামাজিক প্রগতির ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে নিজস্ব প্রচেষ্টায় যুগান্তকারী পদ্মা সেতু নির্মাণ করে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন প্রগতির জন্য আজ আর কারোর মুখাপেক্ষী নয় বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের এই জয় শুধু বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক নয় সমগ্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রগতি এবং স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রেও বিরাট অবদান রাখবে। বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে আদান প্রদান যে আরও অধিক গতি পাবে সেই নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক চেষ্টায় ভারত-বাংলা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক নতুন মাইল ফলক সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগের দিনই ভারতকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু বলে অভিহিত করেছেন শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক ভাবে ভারত বারবার প্রমাণ করেছে স্থিতিশীল এবং মজবুত বাংলাদেশ এই অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নতির জন্য কতোটা সহায়ক। এই কাজ যে উদার রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে চলা আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব সেও পরিস্কার করে বলেছে ভারত। অতীতে বারবার দেখা গেছে যখনই কট্টর মৌলবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে,তখনই দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট করবার জন্য প্রয়াস নিয়েছে বিভিন্ন বিভেদকামী শক্তি। ভারত বাংলা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সাংস্কৃতিক এবং বাণিজ্যিক আদান প্রদান। যা বিগত বছরগুলিতে দুই দেশের সরকারের সার্বিক প্রচেষ্টায় এক নতুন অধ্যায় স্পর্শ করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মজবুত বন্ধু বাংলাদেশের দিকে সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছে ভারত। তেমনি অন্যদিকে কূটনৈতিক মঞ্চ হোক অথবা শিল্প-বাণিজ্য, সব ক্ষেত্রেই দীর্ঘদিনের বন্ধু ভারতকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। দুই দেশের এই মজবুত সম্পর্কের সুফল লাভ করেছে ত্রিপুরা রাজ্যও। ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রাণের নিবিড় সম্পর্কের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। সেই মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে দুই পারে চলছে ছন্দময় প্রাণের আদান প্রদান। যা বর্তমানে প্রসারিত হয়েছে উন্নতির দিশায়। সড়ক যোগাযোগ হোক কিংবা রেল যোগাযোগ কিংবা ইলিশ বাণিজ্য। সব দিকেই বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরার মধ্যে নতুন এক প্রগতির পথের সৃষ্টি হয়েছে। চলছে বহুমুখী বিভিন্ন প্রকল্পে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে জোরদার কর্মকাণ্ড। বিশেষ করে রাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলে, যা ইতিমধ্যেই চালু হওয়া শুধু সামান্য সময়ের ব্যাপার মাত্র, সেই রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রগতির গোটা দিশাই যে পাল্টে যাবে সে বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই থেকে লাভবান হবে দুই পারের মানুষেরাই। সাংস্কৃতিক আদান প্রদানের ক্ষেত্রেও রাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে চলছে বহুমুখী প্রয়াস। মেধা আর মননের এই সৃজনশীল ছন্দ আগামীদিনেও চলবে সে অবশ্যই বলা যায়।
সামগ্রিক ক্ষেত্রে তাই বলা যায় শেখ হাসিনার বিপুল জয়ের ফলে এই অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নতির এবং প্রগতির সার্বিক চিত্র আরো উজ্জ্বল এবং আরও শক্তিমান হবে। ভারত-বাংলা মজবুত সম্পর্কের পাশাপাশি রাজ্যের সংগে বাংলাদেশের সম্পর্কের এই নতুন অধ্যায় আর্থিক এবং বাণিজ্যিক উন্নতির এক সমুজ্জ্বল দিশা।   জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার এবং ভারতের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক আগামীদিনে সমগ্র অঞ্চলের আর্থিক এবং সামাজিক বিকাশে যেমন অতি বৃহৎ ভুমিকা রাখবে তেমনি রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় এবং সমগ্র অঞ্চলের শান্তি সমৃদ্ধির জন্যও এক মাইলস্টোন হিসাবে কাজ করবে ।  ভারত-বাংলার এই মজবুত রসায়ন কোটি মানুষের প্রগতির ক্ষেত্রে আগামীদিনে আরও বৃহৎ ভুমিকা রাখবে তা ইতিমধ্যেই পরিস্কার।বাংলাদেশের এবং ভারতের সবার কাছে প্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার এবং ভারত তথা ত্রিপুরার মানুষের মধ্যে যে উন্নয়ন মুখী সমন্বয়ের এক মঞ্চ তৈরি হয়েছে সেই মঞ্চ থেকেই আগামীদিনে বাজবে সার্বিক বিকাশের মধুর ঐক্যতান ।
এক বাক্যে বলা যায় বাংলাদেশ নির্বাচনে শেখ হাসিনার এই বিপুল জয় প্রকৃত অর্থে মানুষের জয় । যেসব কোটি কোটি মানুষ বিশ্বাস করে পারস্পরিক সাহায্য আর সমর্থনের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে  প্রতিবেশী দুই দেশের উন্নয়নের মূল স্রোত । গঙ্গা আর পদ্মার উভয় তীরে তাই এখন শুধু জীবনের জয়গান । আবার জিতেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ।এর চেয়ে আনন্দের কি আছে ।


আরশিকথা হাইলাইটস


ছবিঃ সংগৃহীত

৯ই জানুয়ারি ২০২৪

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.