"নেতাজী স্কুল মাঠের আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং জোন করার বিষয়টায় একটা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি প্রস্তাব আকারে ছিল। যেহেতু কিছু মানুষ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন তাই এখন এই প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে।" এমনটাই বললেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। যারা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন স্কুলের এবং স্কুল মাঠের কথা চিন্তা করে তাদের শুভচিন্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেয়র। তবে মেয়র এও বলেন মাঠ ঠিকই থাকতো। পার্কিং জোন আন্ডারগ্রাউন্ড হতো।সিন্থেটিক গ্রাউন্ড, জলের ব্যবস্থা, আলোর সুব্যবস্থা, কংক্রিটের স্টেডিয়াম সবই করা হতো। কিন্তু মানুষ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় এখন আর তা হচ্ছে না ।তবে যারা এর বিরোধিতা করেছেন তারাও নিশ্চয়ই স্কুলের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে শুভচিন্তা করেছেন। তাদেরকে ধন্যবাদ জানান মেয়র।
এক্ষেত্রে অনেকে আবার বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেন মেয়র দীপক মজুমদার। এটা শুধুমাত্র প্রস্তাব আকারেই ছিল। যেহেতু স্কুল কর্তৃপক্ষ তা চাইছে না তা পুর নিগমকে জানিয়ে দিলেই হতো। মেয়র আরো বলেন আগরতলা শহরে পার্কিং জোন করে দেওয়াটা পুর নিগমেরই দায়িত্ব। যারা যানবাহন নিয়ে শহরে আসেন কিংবা পথচারীদের কথা ভেবে পার্কিং জোন করা খুব দরকার। মানুষ একদিকে বলেন পুরনিগম কেন পার্কিংজোন করছে না আবার কাজ করতে গেলে আসছে বাধা। তাই তা নিয়ে যে একটা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে এ কথা স্বীকার করেন মেয়র।শুক্রবার আগরতলা পুর নিগমে নিজের কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে গোটা বিষয়টি খোলসা করেন তিনি। সম্প্রতি এক বৈঠকে আরো কিছু জায়গায় পার্কিং জোন করার প্রস্তাব এসেছে। পুর নিগম স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেই পার্কিং জোন করবে। এটা জনগণের সরকার। মানুষের অসুবিধা করে কিছু করা হবে না। যদি মানুষ প্রতিবাদ করে কিংবা বাধা দেয় তাহলে অন্যান্য প্রস্তাবিত জায়গাগুলিতেও পার্কাংজোন হবেনা বলে জানিয়ে দেন মেয়র। তবে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে তিনি মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন ।ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
৫ই জানুয়ারি ২০২৪