বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বৃহস্পতিবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিং সফর চীন-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাসে আরেকটি মাইলফলক হবে।
তিনি বলেন, ‘এই সফর নিশ্চিতভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতায় প্রাণবন্ত প্রেরণা জোগাবে এবং চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বের নতুন অর্জনে এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে।’
চীনের রাষ্ট্রদূত আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিসিএবি) ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট ডিক্যাব টক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক সর্বকালের সর্বোত্তম এবং পরস্পরের কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদার হিসেবে উন্নয়নের জন্য প্রচুর সুযোগ গ্রহণ করছে।ইয়াও ওয়েন আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই চীন সফর সর্বস্তরের মানুষের কাছেই অত্যন্ত প্রত্যাশিত। এই সফরটি আগামী পাঁচ বছর বা তারও বেশি সময়ে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরো জোরদার করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বেইজিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা আরও গভীর, উন্নয়ন কৌশলের সমন্বয়কে শক্তিশালী, ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বকে সুসংহত এবং চীনের জাতীয় পুনর্জাগরণের স্বপ্ন ও বাংলাদেশের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।ইয়াও ওয়েন আরো বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক শক্তিশালী ভিত, গতিশীলতা ও উন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে গর্ব করে। এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আমাদের দুই জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন অর্জন করেছে এবং সম্পর্কটির উন্নয়নের গতিধারা শক্তিশালীভাবে অব্যহত থাকবে।’
ইয়াও আরো বলেন, ‘চীন বাংলাদেশকে বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে সমর্থন, যৌথভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের অভিন্ন মূল্যবোধ, জাতীয় স্বপ্ন ও উন্নয়নের পথ রয়েছে।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বাংলাদেশের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাসকে সুসংহত করতে এবং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে পারস্পরিক শ্রদ্ধার মডেল ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী সহযোগিতার মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে প্রস্তুত।রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরের মাধ্যমে দুই পক্ষ বাস্তবসম্মত সহযোগিতায় নতুন অগ্রগতি অর্জন করবে এবং এটা উভয় দেশের জনগণের জন্য আরও সুবিধা বয়ে আনবে।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে- চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার এবং সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু।তিনি বলেন, আধুনিকায়নের দিকে বাংলাদেশের যাত্রা প্রসঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) ভিশন-২০৪১ ও ‘সোনার বাংলার’ স্বপ্নের সাথে সাথে বাংলাদেশের জাতীয় অবস্থার সাথে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং বিদেশী বিনিয়োগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিক্যাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
তথ্য ও ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
৪ঠা জুলাই ২০২৪