নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আদিবাসী জনসংখ্যার অনুপাত ৫.৬ শতাংশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে এস টি সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করে সমস্ত শূন্য পদে নিয়োগ করা সহ মোট ছয় দফা দাবিকে সামনে রেখে শনিবার রাজভবন অভিজান সংগঠিত করা হয়। GMP'র ডাকে এদিন রাজধানীর আস্তাবল ময়দান থেকে অভিজান শুরু হয়। এই অভিযানে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার , সি পি আই এম দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী, দলের নেতৃত্ব মানিক দে ও নারী নেত্রী রমা দাস সহ আরও অনেকে। কিন্তু মাঝ রাস্তায় পুলিশ প্রশাসন অভিযান কারিদের আটকে দেয় বলে এমনটাই অভিযোগ। এদিন রাজভবন অভিজানের পাশাপাশি পথ সভাও সংগঠিত করা হয়। আয়োজিত পথ সভায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার বলেন, গন মুক্তি পরিষদ যেই দাবি গুলি উত্থাপন করেছে, সেই দাবি গুলি শুধু ত্রিপুরার নয়, সারা দেশের দাবি। এই সরকারের কোন ভেলু নেই। বামফ্রন্ট সরকার গড়ে ৮৫ থেকে ৯৪ শতাংশ বছরে রেগার কাজ সৃষ্টি করেছে। এক্ষেত্রে দেশের পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে অন্যতম হল ত্রিপুরা। এদিন বর্তমান রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে রাজ্য থেকে সিপিএমকে হটানোর জন্য বিজেপি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিল। তখন তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে রাজ্যের বেকার সমস্যা সমাধানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হয়েছে সাত বছর হতে চলছে এখনো পর্যন্ত কোন প্রতিশ্রুতি পালন করে নি বিজেপি সরকার। বর্তমানে বেকাররা চাকুরীর সন্ধানে দিশেহারা হয়ে ঘুরছেন। কিন্তু, তৎকালীন সময়ে বামফ্রন্ট সরকার অর্থ দপ্তরের সহযোগিতায় বছরে দু'বার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সরকারি চাকুরী প্রদান করত বলে এদিন গন মুক্তি পরিষদের কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে এভাবেই বর্তমান রাজ্য সরকারকে বিধলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার । পাশাপাশি তিনি জি এম পি'র দাবি গুলি নিয়েও সরব হন। এদিন রাজ ভবন অভিযান কর্মসূচিতে জন সমাগম ছিল চোখে পড়ার মত।
AKB TV News
11.01.2025