নিজস্ব প্রতিনিধি,
২০২৪ সালে দেশে লোকসভা নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি
মহিলা সংরক্ষণ আইনটি পাশ করানো হয়েছিল। তখন মহিলা উন্নয়নের স্বার্থে সেই আইনের পাশে
দাঁড়িয়েছিল বিরোধী শিবিরও। কিন্তু ২০২৪ লোকসভা
নির্বাচনের পরও ওই বিল কার্যকর করা হয়নি। এমনকী অদূর ভবিষ্যতেও প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের ওই আইন কার্যকর করার কোনও সম্ভাবনা নেই। কেন্দ্র টার্গেট করছে
২০২৯ লোকসভা নির্বাচনে নতুন সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করার।২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সংসদে
পাশ হয়েছে মহিলা সুরক্ষা অধিনিয়ম। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দেশের প্রথম সারির সব দল বিলটিকে
সমর্থন করেন। সংসদের দুই কক্ষেই বিলটি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। শেষে একপ্রকার সর্বসম্মতিতে
বিলটি পাশ হয়। সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে বিরোধীরা সমর্থনের কথা আগেই ঘোষণা করেছিল। সেক্ষেত্রে
এগিয়ে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আরজেডির মহিলা নেত্রী রাবড়ি দেবী, সমাজবাদী পার্টির
ডিম্পল যাদব ও বিএসপির মায়াবতীরা। শর্ত সাপেক্ষে বিলটির পাশে দাঁড়ান তাঁরা। ওই বিল
অনুযায়ী, দেশের আইনসভা গুলিতে এবার থেকে ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে মহিলাদের জন্য।
যার অর্থ প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন জনপ্রতিনিধি হবেন মহিলা।কিন্তু বিলটি পাশ হয়ে গেলেও
সেটি কার্যকর এখনও হয়নি। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই আইন কার্যকর করার দাবি জানিয়েছিল
কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীরা। কিন্তু সরকার সে পথে হাঁটেনি। কেন্দ্রের যুক্তি, এই বিল
কার্যকর করার আগে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস জরুরি। সেটার জন্য আবার দরকার জনগণনা। সমস্যা
হল ২০২১ সালে যে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল সেটা এখনও শুরু করেনি মোদি সরকার। ওই জনগণনা
শুরু হবে ২০২৬ সালের মে মাসে। ওই জনগণনার প্রক্রিয়া শেষ হলে লোকসভা এবং বিধানসভা গুলির
আসন পুনর্বিন্যাস হবে।
Akb tv news
12.06.2025