Type Here to Get Search Results !

এইচআইভি আক্রান্ত পাঁচ শিশুর আজীবন দায়িত্বভার গ্রহণ করলো মুদ্রণ সংস্থা আমার গ্রাফিক্স

নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলাঃ
বিশ্বের একটি মারণব্যাধির নাম এইডস। এর পুরো নাম অ্যাকোয়ার্ড ইম্যুয়ুনো ডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রোম। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ,যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ভাইরাসদের গোষ্ঠীভুক্ত। এইডস রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর নাম এইচআইভি। এটি এমন এক জীবাণু যা মানুষের দেহের সংক্রমণ রোধকারী ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে দেয়। এইচআইভি'র পুরো নাম হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে শরীরের সমস্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। ফলে রোগী সহজেই নানা রকম মারাত্মক সংক্রামক রোগ, এমনকি ক্যান্সারেরও শিকার হন। গোটা বিশ্বেই এইডস রোগ নিয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। যার থেকে সৃষ্টি হয় আরও অনেক নতুন নতুন সমস্যার। এইজন্য সরকারী এবং বেসরকারি নানা সংগঠনের তরফে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশব্যাপী কর্মকাণ্ড চালানো হয়। এদিকে লক্ষ্য রেখে আগরতলার স্বনামধন্য মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান "আমার গ্রাফিক্স" এক অনন্য নজির গড়লো। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক লাভালাভে নিজেদের গণ্ডী এঁকে নয় মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শ্রেষ্ঠ ভাবধারাকে সম্মান জানিয়ে এইচআইভি আক্রান্ত ৫টি শিশুর আজীবন দায়িত্বভার তুলে নিয়ে সমাজজীবনে এক উদাহরণে স্থান করে নিলো "আমার গ্রাফিক্স"। 
২রা জুন আগরতলার যক্ষ্মা নিবারণী হলে এক ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই মহৎকার্যটি সম্পন্ন করে আমার গ্রফিক্সের পরিবার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ। তিনি উদ্যোক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে এইধরনের কর্মকাণ্ডে সমাজের সকল অংশের মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান রাখেন। 
তিনি আরও বলেন, সচেতনতার মাধ্যমেই আমরা সকল প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হতে পারি। যেকোনো মারণব্যাধি প্রতিরোধ করার পথ খুঁজে পেতে পারি। এরজন্য দরকার সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সর্বত্র সচেতনতার কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে দেওয়া। আজ আমার গ্রাফিক্সের কর্ণধার আশুতোষ দে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো তাতে সমাজে যাতে আরও আশুতোষ দে'রা এগিয়ে এসে এই মারণব্যাধি নির্মূলীকরণে একজোট হয়ে কাজ করে। 
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন ত্রিপুরা এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির প্রকল্প অধিকর্তা ডাঃ অশোক রায়, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব এবং অধিকর্তা ডাঃ সন্দীপ আর রাঠোর, বিসিডিবি ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জয় পাল এবং টিএসএসিএস এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপুল ভৌমিক সহ অন্যান্যরা। 
সভাপতির ভাষণে আমার গ্রাফিক্সের কর্ণধার আশুতোষ দে বলেন, এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। প্রত্যেকেরই সুখস্বাচ্ছন্দ্যে থাকার অধিকার রয়েছে। যেকোনো ধরণের অজ্ঞানতা বা অদূরদর্শিতা আমাদের সুখকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তার জন্য আমাদের সবাইকে এক হয়ে নানা সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে সমাজকে অজ্ঞানতার হাত থেকে মুক্ত করার কাজে এগিয়ে আসতে হবে। নিষ্পাপ শিশুদের জন্য সুস্থ সমাজ উপহার দেওয়ার শ্রেষ্ঠ কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। তিনি তার বক্তব্যের শেষে উপস্থিত সবাইকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।  
পাশাপাশি আগামীদিনেও সংস্থার তরফে এইধরনের কর্মকাণ্ড জারি থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন শ্রী দে। ত্রিপুরা এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির প্রকল্প অধিকর্তা ডাঃ অশোক রায় তার মুল্যবান বক্তব্যে এই মারণব্যাধি প্রতিরোধ করা সহ সরকারের নানা কর্মসূচীর বিষয় তুলে ধরেন। সবার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে সফল হয়।  


ছবিঃ নিজস্ব
৩রা জুন ২০১৮ইং
 
   
                 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.