বিশেষ প্রতিনিধি,আগরতলাঃ
গুলিতে নিহত বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ পালের বাড়িতে গেলেন বিজেপি উত্তর পূর্বাঞ্চলের সংগঠন মহামন্ত্রী অজয় জাম্বুয়াল। সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ বিজেপি'র সাধারণ সম্পাদিকা প্রতিমা ভৌমিক। ওনারা কথা বলেন প্রয়াতের স্ত্রীর সঙ্গে। সোমবার(২৫জুন) দুপুরে অজয় জাম্বুয়াল প্রয়াতের বাড়িতে গিয়ে আশ্বাস দেন এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার হবে। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত চালিয়েছে পুলিশ। প্রয়াত বিশ্বজিৎ এর পরিবারকে সাহায্য সহায়তার বিষয়ে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান। এদিকে প্রয়াতের স্ত্রী মুন পাল জানান, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রাণজিৎ ছাড়াও তার ভাই পীযূষ ভৌমিক ও পঙ্কজ ভৌমিক জড়িত থাকতে পারে। তিনি দোষীদের ফাঁসির দাবি করেন। বিজেপি'র সর্বভারতীয় নেতা অজয় জাম্বুয়ালের কাছে বিশ্বজিৎ এর স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, মাত্র ৫ হাজার ১০০ টাকার একটি কাজ করেন তিনি। ৯ বছরের ছেলেটিকে নিয়ে কি করবেন? কিছুদিন আগে বিশ্বজিৎ বলেছিলেন, তাদের ৪৬নং ওয়ার্ডে দুই আড়াই লক্ষ টাকার একটি ঠিকেদারি কাজ এসেছে। কিন্তু পুঁজি না থাকায় বিশ্বজিৎ সে কাজ নিজে না নিয়ে এলাকার কয়েকজনের মধ্যে ভাগ করে দেয়। সম্প্রতি ঠিকেদারি কাজ পাওয়ার জন্য বিশ্বজিৎ তার বেতনের টাকা থেকে আট হাজার টাকা জমা দেয়। তাও কাজ পাবে কিনা নিশ্চিত ছিলোনা। স্ত্রীর কাছে নাকি বিশ্বজিৎ বলেছিলেন, কাজ না পেলে আট হাজার টাকা তুলে নেবেন। সীমিত আয়ের মধ্যেই তাদের চলতে হতো বলে জানান প্রয়াত বিশ্বজিৎ এর স্ত্রী। বিশ্বজিৎ এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা নেই বলেও জানান তার স্ত্রী। এদিকে এলাকার জনগণ মিলনচক্র এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন অভিযুক্ত প্রাণজিৎ ভৌমিকের কঠোর শাস্তি এবং তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার দাবিতে। বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধের পর ঘটনাস্থলে যায় এডি নগর থানার পুলিশ। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে মাননীয় আদালত তাকে ৫ দিনের পুলিশ হাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর নির্দেশ দেয় । এই মামলার সঠিক তদন্ত হবে এবং ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেওয়া হলে এলাকাবাসী পথ অবরোধ মুক্ত করে। উত্তেজিত এলাকাবাসীদের একটি অংশ অভিযুক্ত প্রাণজিৎ এর বাড়িতে অল্পবিস্তর ভাঙচুর চালায়। বর্তমানে বাড়িছাড়া হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন প্রাণজিৎ এর পরিবারের লোকেরা।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৫শে জুন ২০১৮ইং
গুলিতে নিহত বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ পালের বাড়িতে গেলেন বিজেপি উত্তর পূর্বাঞ্চলের সংগঠন মহামন্ত্রী অজয় জাম্বুয়াল। সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ বিজেপি'র সাধারণ সম্পাদিকা প্রতিমা ভৌমিক। ওনারা কথা বলেন প্রয়াতের স্ত্রীর সঙ্গে। সোমবার(২৫জুন) দুপুরে অজয় জাম্বুয়াল প্রয়াতের বাড়িতে গিয়ে আশ্বাস দেন এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার হবে। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত চালিয়েছে পুলিশ। প্রয়াত বিশ্বজিৎ এর পরিবারকে সাহায্য সহায়তার বিষয়ে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান। এদিকে প্রয়াতের স্ত্রী মুন পাল জানান, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রাণজিৎ ছাড়াও তার ভাই পীযূষ ভৌমিক ও পঙ্কজ ভৌমিক জড়িত থাকতে পারে। তিনি দোষীদের ফাঁসির দাবি করেন। বিজেপি'র সর্বভারতীয় নেতা অজয় জাম্বুয়ালের কাছে বিশ্বজিৎ এর স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, মাত্র ৫ হাজার ১০০ টাকার একটি কাজ করেন তিনি। ৯ বছরের ছেলেটিকে নিয়ে কি করবেন? কিছুদিন আগে বিশ্বজিৎ বলেছিলেন, তাদের ৪৬নং ওয়ার্ডে দুই আড়াই লক্ষ টাকার একটি ঠিকেদারি কাজ এসেছে। কিন্তু পুঁজি না থাকায় বিশ্বজিৎ সে কাজ নিজে না নিয়ে এলাকার কয়েকজনের মধ্যে ভাগ করে দেয়। সম্প্রতি ঠিকেদারি কাজ পাওয়ার জন্য বিশ্বজিৎ তার বেতনের টাকা থেকে আট হাজার টাকা জমা দেয়। তাও কাজ পাবে কিনা নিশ্চিত ছিলোনা। স্ত্রীর কাছে নাকি বিশ্বজিৎ বলেছিলেন, কাজ না পেলে আট হাজার টাকা তুলে নেবেন। সীমিত আয়ের মধ্যেই তাদের চলতে হতো বলে জানান প্রয়াত বিশ্বজিৎ এর স্ত্রী। বিশ্বজিৎ এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা নেই বলেও জানান তার স্ত্রী। এদিকে এলাকার জনগণ মিলনচক্র এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন অভিযুক্ত প্রাণজিৎ ভৌমিকের কঠোর শাস্তি এবং তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার দাবিতে। বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধের পর ঘটনাস্থলে যায় এডি নগর থানার পুলিশ। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে মাননীয় আদালত তাকে ৫ দিনের পুলিশ হাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর নির্দেশ দেয় । এই মামলার সঠিক তদন্ত হবে এবং ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেওয়া হলে এলাকাবাসী পথ অবরোধ মুক্ত করে। উত্তেজিত এলাকাবাসীদের একটি অংশ অভিযুক্ত প্রাণজিৎ এর বাড়িতে অল্পবিস্তর ভাঙচুর চালায়। বর্তমানে বাড়িছাড়া হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন প্রাণজিৎ এর পরিবারের লোকেরা।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৫শে জুন ২০১৮ইং