কথায় আছে রেগে গেলেন তো হেরে
গেলেন।এই প্রবাদটির বাস্তব প্রতিফলন ঘটেছিল ২০০৬ এর বিশ্বকাপ ফুটবলে।সেবার বিশ্বকাপ
অনুষ্ঠিত হয়েছিল জার্মানিতে।সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ইতালি
এবং ফ্রান্স।সেই বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে ফ্রান্স ফুটবলের অবস্থা ছিল খুবই নাজুক।দলের
সেরা তারকা জিনেদিন জিদান, লিলিয়াম থুরান চলে গিয়েছিল অবসরে।কিন্তু বিশ্বকাপের প্রাকমুহূর্তে
তারা দু’জনেই অবসর ভেঙে যোগ দিয়েছিল বিশ্বকাপ যুদ্ধে।দিনটি ছিল ২০০৬ সালের ৯ জুলাই।
জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত হয় সেই ঐতিহাসিক ফাইনাল ম্যাচ। সারা বিশ্বের চোখ টেলিভিশনের
পর্দায়।খেলার শুরুতেই ফ্রান্স একের পর এক আক্রমনে ইতালিকে কোনঠাসা করে ফেলেছিল।কিন্তু
ইতালির দুর্দান্ত রক্ষণভাগ বার বারই রুখে দিয়েছিল ফ্রান্সকে।নির্ধারিত ৯০ মিনিট ১-১
গোলে সমতায় শেষ হয়। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।ফ্রান্স মরিয়া হয়ে আক্রমন করতে থাকে ইতালির
গোলমুখে। যে কোনো সময়ে ইতালির জালে ঢুকে যেতে পারে বল।জিনেদিন জিদানের মরিয়া প্রচেষ্টা।ঠিক
সেই মুহূর্তে ঘটে গেল আশ্চর্য এক ঘটনা।দলের সেরা তারকা জিদান হুট করেই মাথা দিয়ে একটা
ঢুস মেরে বসলো ইতালির ডিফেন্ডার মার্কো মাতেরাজ্জির পেটে।
সারা বিশ্বের কোটি কোটির দর্শকের
চোখ উঠে গেল কপালে।এ কী করলেন জিদান ? মুহূতেই লালকার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতে
হলো দলের সেরা তারকাকে।
তারপর খেলা গড়ালো ট্রাইবেকারে।ইতালি ৫-৩ ব্যবধানে জিতে ফ্রান্সের
কাছ থেকে সেবার ছিনিয়ে নিলো বিশ্বসেরার মুকুট।
বস্তুত এটা ছিল ইতালির খেলার একটা কৌশল।জানা
যায়, মাতেরাজ্জি জিদানের বোনকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলেছিল জিদানকে। সেটা শুনে রাগ দমাতে
পারেনি জিদান।বাকীটা ইতিহাস !
প্রতিবেদকঃ জহির রায়হান, বাংলাদেশ
সহ-সভাপতি(উপদেষ্টামণ্ডলী), আরশি কথা
ছবিঃ প্রতিবেদকের সৌজন্যে
৬ই জুন ২০১৮ইং