ঠিক এই রকম অনুভূতির একটা সন্ধ্যা কাটানো গত দুই ফেব্রুয়ারী 2019 এ গ্যালারী আর্ট পিসেসের আড্ডায।সামান্য একটু অনুভূতি,সামান্য একটু বাস্তবতা, সামান্য একটু শব্দ কিংবা সামান্য একটু কথা যে কতটা অসামান্য হতে পারে বাংলাদেশের জনপ্রিয় কবি জহির রায়হান দাদার "সামান্য একটি কবিতা "না শুনলে হয়তো বলা যেতো না।সামান্য যে কতটা অসামান্য হতে পারে দাদার কবিতায় সাক্ষী হয়ে রইল। যদিও কবির কবিতা বলার শৈলী টাও অসামান্যই ছিল।এই সামান্য অনুভূতিগুলোই অনেক দিন বেঁচে থাকে। ছোটবেলায় মধুপুরে কাটে ।বিনোদন বলতে নাটক,যাত্রা, নিমাই সন্ন্যাস এগুলো বড়দের সাথে দেখতে যেতাম।সামাজিক নাটক বড় বউ,ছোট বউ,বাবা কেন চাকর আরো কত। একবার আমার বাবা চাকরের অভিনয় করেছিলেন আর নিচে অর্থাত দর্শকের আসনে বসে আমার মা জেঠিমারা কেঁদেই যাচ্ছেন।নাটক খুব একটা বুঝতাম না বলে দেখতাম না ।আমি দর্শকদের দেখতাম।মনে মনে ভাবতাম কেন কান্না করছে।নাটক যাত্রা দেখে দেখে এত কান্না কেন ।তখন থেকেই বাস্তব, অতি বাস্তব, অভিনয় এগুলোকে আলাদা আলাদা ভাবে চিনতে চেষ্টা করি আবার সেগুলোই যে মিলে মিশে একাকার সেটাও আস্তে আস্তে বোধগম্য হয় ।
শান্তা দেবনাথ, পরিচালিকা
গ্যালারী আর্ট পিস, আগরতলা