আনন্দে ভিভিড সিডনি ঘুরে ফেসবুকে কিছু ছবি তুলে দিয়েছি, আর মিনিট পনেরো পরেই শান্তনুদার শান্ত লেখনী মারফত অনুরোধ – এই আলোর উৎসব নিয়ে একটা লেখা ---
এদিকে আলোর খেলা দেখতে রাতের বেলায় মাঠে ঘাটে ঘুরে সিডনি হারবারের জলো হাওয়া লেগে আমি ফ্লু তে কয়েক দিনের জন্য কুপোকাত আর তারপর সেই কুপোকাত এর জের সামলাতে অফিসে আরো কিছুদিন হিমশিম| এই সবের মধ্যে সমাপ্তি ঘটেছে ভিভিড সিডনির। আর সিডনিবাসী মেতে উঠেছে ক্রিকেটের বিশ্বকাপ নিয়ে| ক্রিকেট দেখা বহুকাল হল ছেড়ে দিয়েছি তাই টিভির পর্দার দিকে নজর না দিয়ে এখন বসে লেখাটা শেষ করতে পারছি| ভিভিড এর ইতিহাস নিয়ে লেখার তেমন বিশেষ কিছু নেই কারণ এ নিতান্তই অর্বাচীন এক উৎসব| ২০০৯ সালে সূচনা হয়েছিল এই উৎসবের, স্মার্ট লাইট ফেস্টিভাল হিসেবে| এই মুহুর্তে এটি বিশ্বের বৃহত্তম আলোর উৎসব বলে গন্য হয়| প্রতি বছর মে মাসে শুরু হয়ে তিন সপ্তাহ ধরে চলে জুন মাসে শেষ হয় ভিভিড| সাধারণত সপ্তাহান্তে সিডনির সিবিডি অর্থাৎ সেন্ট্রাল বিসনেস ডিস্ট্রিক্ট এ পা রাখার জায়গা পাওয়া মুশকিল হয় এই তিন সপ্তাহ| হাঁটার প্রয়োজন অবশ্য তেমন পড়ে না, জনস্রোতের ঠেলাতে একরকম ভেসেই বেড়াতে হয়| সিডনির যত পরিচিত স্থাপত্য আছে, তার সবই আলোর বন্যায় ভেসে যায়| তবে সব চেয়ে সুন্দর আলোর খেলা দেখা যায় অপেরা হাউসের পাল গুলির ওপর|
অপেরা হাউস ঘুরে বোটানিক্যাল গার্ডেন এ ঢুকে পড়লে আবার আলো আঁধারির কেমন একটা মোহিনী পরিবেশ – যেন এক নিষিদ্ধ জগতের হাতছানি| সেই হাতছানির কবল থেকে বেরিয়ে আবার নগরীর জন সমুদ্রে মিশে যাওয়া, কলরবে মুখরিত সিডনি যেন কোন ময়দানবের হাতে গড়া মায়ানগরী|
রবিরশ্মি ঘোষ , সিডনি
ছবিঋণঃ সৌজন্যে রবিরশ্মি ঘোষ
১লা জুলাই ২০১৯
এদিকে আলোর খেলা দেখতে রাতের বেলায় মাঠে ঘাটে ঘুরে সিডনি হারবারের জলো হাওয়া লেগে আমি ফ্লু তে কয়েক দিনের জন্য কুপোকাত আর তারপর সেই কুপোকাত এর জের সামলাতে অফিসে আরো কিছুদিন হিমশিম| এই সবের মধ্যে সমাপ্তি ঘটেছে ভিভিড সিডনির। আর সিডনিবাসী মেতে উঠেছে ক্রিকেটের বিশ্বকাপ নিয়ে| ক্রিকেট দেখা বহুকাল হল ছেড়ে দিয়েছি তাই টিভির পর্দার দিকে নজর না দিয়ে এখন বসে লেখাটা শেষ করতে পারছি| ভিভিড এর ইতিহাস নিয়ে লেখার তেমন বিশেষ কিছু নেই কারণ এ নিতান্তই অর্বাচীন এক উৎসব| ২০০৯ সালে সূচনা হয়েছিল এই উৎসবের, স্মার্ট লাইট ফেস্টিভাল হিসেবে| এই মুহুর্তে এটি বিশ্বের বৃহত্তম আলোর উৎসব বলে গন্য হয়| প্রতি বছর মে মাসে শুরু হয়ে তিন সপ্তাহ ধরে চলে জুন মাসে শেষ হয় ভিভিড| সাধারণত সপ্তাহান্তে সিডনির সিবিডি অর্থাৎ সেন্ট্রাল বিসনেস ডিস্ট্রিক্ট এ পা রাখার জায়গা পাওয়া মুশকিল হয় এই তিন সপ্তাহ| হাঁটার প্রয়োজন অবশ্য তেমন পড়ে না, জনস্রোতের ঠেলাতে একরকম ভেসেই বেড়াতে হয়| সিডনির যত পরিচিত স্থাপত্য আছে, তার সবই আলোর বন্যায় ভেসে যায়| তবে সব চেয়ে সুন্দর আলোর খেলা দেখা যায় অপেরা হাউসের পাল গুলির ওপর|
অপেরা হাউস ঘুরে বোটানিক্যাল গার্ডেন এ ঢুকে পড়লে আবার আলো আঁধারির কেমন একটা মোহিনী পরিবেশ – যেন এক নিষিদ্ধ জগতের হাতছানি| সেই হাতছানির কবল থেকে বেরিয়ে আবার নগরীর জন সমুদ্রে মিশে যাওয়া, কলরবে মুখরিত সিডনি যেন কোন ময়দানবের হাতে গড়া মায়ানগরী|
রবিরশ্মি ঘোষ , সিডনি
ছবিঋণঃ সৌজন্যে রবিরশ্মি ঘোষ
১লা জুলাই ২০১৯
দারুন লেখা !!!
উত্তরমুছুন